চবিতে ৭ দফা দাবি নিয়ে অনশনে ৯ শিক্ষার্থী
প্রকাশ : ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৭:৫৮ | অনলাইন সংস্করণ
চট্টগ্রাম ব্যুরো

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ৯ শিক্ষার্থী ৭ দফা দাবিতে অনশনে বসেছেন। জানা যায়, শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় জড়িতদের বিচারের আওতায় আনা-সহ আরও কিছু দাবি নিয়ে অনশন শুরু করেছেন তারা। অনশনকারীরা সবাই বিভিন্ন সংগঠনের নেতা-কর্মী। বুধবার বেলা সাড়ে ১২টা থেকে প্রক্টর অফিসের সামনে ‘অধিকার সচেতন শিক্ষার্থী’র ব্যানারে এ কর্মসূচি শুরু হয়।
বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে প্রতিবেদন লেখার সময়েও তাদের কর্মসূচি চলমান ছিল।
অনশনরত শিক্ষার্থীরা হলেন— বাংলা বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সংগঠক ধ্রুব বড়ুয়া, ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সুদর্শন চাকমা, ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ওমর সমুদ্র, সঙ্গীত বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রীর চবি শাখার সভাপতি জশদ জাকির, ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও বিপ্লবী ছাত্র যুব আন্দোলনের সংগঠক ঈশা দে, স্পোর্টস সায়েন্স বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রীর সাংগঠনিক সম্পাদক রাম্রা সাইন মারমা, ইংরেজি বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষার্থী ও বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রীর শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক আহমেদ মুগ্ধ ও দপ্তর সম্পাদক নাঈম শাহজান এবং মার্কেটিং বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও নারী অঙ্গনের সংগঠক সুমাইয়া শিকদার।
শিক্ষার্থীরা তাদের দাবিতে স্থানীয়দের সঙ্গে সংঘর্ষে আহতদের চিকিৎসা, অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ আবাসনের ব্যবস্থা, আবাসনচ্যুতদের মালামাল উদ্ধারে কার্যকর পদক্ষেপ, চিহ্নিত শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা, প্রকৃত অপরাধীদের বিচার এবং নিরপরাধ এলাকাবাসীদের হয়রানি বন্ধের দাবি তুলেছেন।
পাশাপাশি দ্বন্দ্ব নিরসনে সমন্বয় কমিটি গঠন, সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত প্রকাশ ও নিরাপদ ক্যাম্পাসের রোডম্যাপ বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছেন। এছাড়া আহত হওয়ার ঘটনায় প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়ে প্রক্টরিয়াল বডির পদত্যাগও দাবি করেছেন তারা।
এদিকে অনশন শুরুর দুই ঘণ্টা পর বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রীর সভাপতি জশদ জাকিরকে একটি হোটেলে ভাত খেতে দেখা যায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘটনাটি ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি ব্যাপক আলোচিত-সমালোচিত হয়।
অনশনরত বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রীর দপ্তর সম্পাদক নাঈম শাহজান বলেন, আমরা প্রশাসনের কাছে সাত দফা দাবি দিয়েছিলাম। কিন্তু কোনোটা পূরণ হয়নি। তাই আমরণ অনশনে বসেছি। ২২ ঘণ্টা পার হলেও প্রশাসন আমাদের সঙ্গে দেখা করেনি।
চবির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, আমরা অ্যাকাডেমিক পরিবেশ ঠিক করার চেষ্টা করছি। অথচ তারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চাইছে। যারা এমন বিশৃঙ্খলা তৈরি করবে, তারা শিক্ষার্থীদের সমর্থন পাবে না।
