নতুন জ্ঞানের সন্ধান পেতে গবেষণার সাহায্য প্রয়োজন: চুয়েট ভিসি
প্রকাশ : ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৮:০৪ | অনলাইন সংস্করণ

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এর ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মাহমুদ আব্দুল মতিন ভূইয়া বলেছেন, নতুন জ্ঞানের সন্ধান পেতে হলে গবেষণার সাহায্য নিতে হবে। গবেষণা সময়সাপেক্ষ, শ্রমসাপেক্ষ ও কষ্টকর হলেও এর ফলাফল জাতির কল্যাণে ভূমিকা রাখে।
তিনি বলেন, ‘কোনো মহৎ আবিষ্কার আকস্মিকভাবে বা বিনা পরিশ্রমে হয় না। প্রতিটি আবিষ্কারের পেছনে বহু বছরের সাধনা, পরিশ্রম ও ত্যাগ জড়িয়ে থাকে। গবেষককে সৃজনশীলতা ও কল্পনাশক্তির সমন্বয়ে কাজ করতে হবে। গবেষণার প্রতিবেদনে সৃজনশীলতা যেমন প্রয়োজন, তেমনি নিঃস্বার্থভাবে বৃহৎ জনগোষ্ঠীর জন্য কাজ করার মানসিকতাও জরুরি।’
বৃহস্পতিবার সকালে চুয়েটের কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে গবেষণা ও সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে আয়োজিত “রিসার্চ সেমিনার, প্রোজেক্ট এওয়ার্ড ও অ্যাপ্রিসিয়েশন প্রোগ্রাম ২০২৫”-এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন তড়িৎ ও কম্পিউটার প্রকৌশল অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. কাজী দেলোয়ার হোসেন, পুর ও পরিবেশ কৌশল অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. আসিফুল হক, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. এ.এইচ. রাশেদুল হোসেন এবং স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ রাশিদুল হাসান। কী-নোট স্পিকার ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার আরএমআইটি ইউনিভার্সিটি মেলবোর্নের স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের সিনিয়র লেকচারার ড. মো. আতাউর রহমান। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন গবেষণা ও সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. সজল চন্দ্র বনিক।
সঞ্চালনা করেন চুয়েট আইকিউএসি’র অতিরিক্ত পরিচালক ও যন্ত্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. সানাউল রাব্বী এবং উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) মোহাম্মদ ফজলুর রহমান।
ভিসি তার বক্তব্যে আরও বলেন, অর্থনৈতিক, সামাজিক বা রাজনৈতিক যে কোনো সমস্যার টেকসই সমাধান পেতে ধারাবাহিক ও উদ্দেশ্যপূর্ণ গবেষণা চালিয়ে যাওয়া জরুরি। প্রশিক্ষিত ও দক্ষ গবেষকের মাধ্যমেই কাক্সিক্ষত গবেষণা ফলাফল অর্জন সম্ভব।
অনুষ্ঠানে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য ৪৭টি প্রোজেক্ট প্রোপোজাল এওয়ার্ড করা হয়। এ ছাড়া গত অর্থবছরে গবেষণা প্রকল্প সমাপ্ত করা ২৭ জন শিক্ষককে সম্মাননা দেওয়া হয় এবং ৪টি সেরা গবেষণা প্রকাশনাকে এওয়ার্ড প্রদান করা হয়।
