জাকসু নির্বাচন কমিশনের আরেক সদস্যের পদত্যাগ

প্রকাশ : ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৭:২৯ | অনলাইন সংস্করণ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন কমিশনের আরেক সদস্য অধ্যাপক ড. রেজওয়ানা করিম স্নিগ্ধা পদত্যাগ করেছেন। 

শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টার দিকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন তিনি।

এর আগে, জাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ এনে নির্বাচন কমিশনের সদস্য অধ্যাপক মাফরুহি সাত্তার পদত্যাগ করেন। শুক্রবার রাত ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কলাভবনের নিচে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে জাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়। চলে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। ওই দিন ভোট গণনা শুরু হয় রাত সোয়া ১০টায়। টানা তিন দিন ভোট গণনা শেষে ফলাফল ঘোষণার সময় জানায় নির্বাচন কমিশন। 

জাকসু নির্বাচনে মোট আটটি পূর্ণ ও আংশিক প্যানেল অংশ নিলেও ভোট শুরুর পর কারচুপির অভিযোগ তুলে পাঁচটি প্যানেল নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ায়। বর্জনকারী প্যানেলগুলোর মধ্যে রয়েছে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল, প্রগতিশীল শিক্ষার্থীদের 'সম্প্রীতির ঐক্য', বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ও ছাত্র ফ্রন্টের 'সংশপ্তক পর্ষদ', স্বতন্ত্রদের 'অঙ্গীকার পরিষদ' এবং আরও কয়েকজন স্বতন্ত্র প্রার্থী।

এবারের জাকসু নির্বাচনে মোট ভোটার ছিলেন ১১ হাজার ৮৯৭ জন, যার মধ্যে ছাত্র ৬ হাজার ১১৫ জন এবং ছাত্রী ৫ হাজার ৭২৮ জন। ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন প্রায় ৬৭ থেকে ৬৮ শতাংশ শিক্ষার্থী। কেন্দ্রীয় সংসদের ২৫টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ১৭৭ জন প্রার্থী। এর মধ্যে ভিপি পদে ৯ জন, জিএস পদে ৮ জন, এজিএস পদে ১৬ জন এবং নারী প্রার্থী ছিলেন ৬ জন।

ভোটগ্রহণে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১টি হলে মোট ২২৪টি বুথ ব্যবহার করা হয়। বিভিন্ন হলে ভোটাধিকার প্রয়োগকারী শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ভিন্ন ভিন্ন। আল বেরুনী হলে ভোট দেন ২১০ জন, আ ফ ম কামালউদ্দিন হলে ৩৩৩ জন, মীর মশাররফ হোসেন হলে ৪৬৪ জন, শহীদ সালাম-বরকত হলে ২৯৮ জন, মওলানা ভাসানী হলে ৫১৪ জন, শহীদ রফিক-জব্বার হলে ৬৫০ জন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলে ৩৫০ জন, ২১ নম্বর হলে ৭৩৫ জন, নজরুল হলে ৯৯২ জন এবং তাজউদ্দীন আহমদ হলে ভোট দেন ৯৪৭ জন শিক্ষার্থী।