চাকসুর ভোটার তালিকা প্রকাশ, ভোটার বাড়ল দেড় হাজার
প্রকাশ : ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৪:১৪ | অনলাইন সংস্করণ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। খসড়া তালিকার তুলনায় নতুন করে যুক্ত হয়েছেন ১ হাজার ৭৬৮ শিক্ষার্থী। এতে মোট ভোটার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৭ হাজার ৬৩৪ জনে।
রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) সাড়ে ৮টার দিকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়।
ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানায়, খসড়া ভোটার তালিকার ওপর পাওয়া আপত্তি নিষ্পত্তি কমিটির সুপারিশ ও উপাচার্যের অনুমোদনের পর এ চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। তালিকা সব হলে টানানো হয়েছে এবং cucsu.cu.ac.bd ওয়েবসাইটেও পাওয়া যাবে।
চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনার ড. এ. কে. এম. আরিফুল হক সিদ্দিকী বলেন, প্রথম বর্ষের অনেক শিক্ষার্থী এখনও হলে সংযুক্ত হয়নি। এ কারণে ছাত্র-ছাত্রীর সুনির্দিষ্ট সংখ্যা এখনই দেওয়া যাচ্ছে না। তবে আগামী এক–দুদিনের মধ্যে হলভিত্তিক তালিকা দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত ২৮ আগস্ট চাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, আজ (১৪ সেপ্টেম্বর) থেকে মনোনয়নপত্র বিতরণ শুরু হয়েছে। মনোনয়নপত্র জমা নেওয়া হবে ১৫ থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। যাচাই-বাছাই হবে ১৮ সেপ্টেম্বর। প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা প্রকাশিত হবে ২১ সেপ্টেম্বর এবং প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৩ সেপ্টেম্বর দুপুর সাড়ে তিনটা পর্যন্ত। চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে ২৫ সেপ্টেম্বর। আর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১২ অক্টোবর সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
কোন বিভাগে কত ভোটার
বিভাগভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, সর্বোচ্চ ৯২৫ জন ভোটার রয়েছেন রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে। এরপর রয়েছে অর্থনীতি বিভাগে ৯২৩ জন, লোক প্রশাসনে ৮৬৮ জন, ব্যবস্থাপনায় ৮৪৫ জন, সমাজতত্ত্বে ৮৪৭ জন এবং ফাইন্যান্স বিভাগে ৮৭৫ জন ভোটার। এছাড়া আইন বিভাগে ৮০১ জন, ইসলামিক ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগে ৮০০ জন এবং মার্কেটিং ও ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগে সমানভাবে ৭৯৬ জন করে ভোটার আছেন। ইতিহাস ও হিসাববিজ্ঞান বিভাগেও ভোটারের সংখ্যা যথাক্রমে ৭৯৪ ও ৭৯৫ জন।
বাংলা, ইংরেজি, দর্শন, রসায়ন, গণিত, পরিসংখ্যান, ব্যাংকিং ও ইন্সুরেন্স, মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা, পদার্থবিজ্ঞানসহ বেশ কয়েকটি বিভাগে ৬০০ থেকে ৭৫০ জনের মধ্যে ভোটার রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, বাংলা বিভাগে ৭৪২ জন, ইংরেজিতে ৭৭২ জন, দর্শনে ৭৬৯ জন, রসায়নে ৭২৫ জন, গণিতে ৭৫৪ জন, পরিসংখ্যানে ৭১৬ জন, ব্যাংকিং ও ইন্সুরেন্সে ৭২৬ জন এবং মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনায় ৬৪৪ জন ভোটার রয়েছে। উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগে ৬০৭ জন ও পদার্থবিজ্ঞানে রয়েছে ৬৬৪ জন ভোটার।
এছাড়া যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে ৩৭৭ জন, আন্তর্জাতিক সম্পর্কে ৪৫১ জন, ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যায় ২৮৭ জন, মনোবিজ্ঞানে ২০৫ জন, নাট্যকলায় ২১৩ জন, সংগীতে ১৬৮ জন এবং ওসেনোগ্রাফি বিভাগে ১৭০ জন ভোটার রয়েছে। মৎস্যবিজ্ঞান বিভাগে ১৭২ জন, ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে ১৮৫ জন, ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগে ১৮৮ জন এবং অণুজীববিজ্ঞান বিভাগে ২৫৪ জন ভোটার আছে। সবচেয়ে কম ভোটার রয়েছে জেএনআই গবেষণা কেন্দ্রে—মাত্র ৩৪ জন।
ইনস্টিটিউটগুলোর মধ্যে চারুকলা ইনস্টিটিউটে ৪৭৩ জন, বনবিদ্যা ও পরিবেশ বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে ৫১৯ জন, সামুদ্রিক বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে ৩২৮ জন এবং আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটে ২৪৩ জন ভোটার রয়েছে।
