হামলাকারীদের বিচার দাবিতে রাবিতে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের মানববন্ধন

প্রকাশ : ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৮:২৭ | অনলাইন সংস্করণ

  রাবি প্রতিনিধি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) পোষ্য কোটা পুনর্বহাল ও শিক্ষক-কর্মকর্তাদের ওপর হামলাকারীদের বিচার দাবিতে কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচির অংশ হিসেবে মানববন্ধন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।

সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে সব ধরনের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ থাকে।

মানববন্ধনে শিক্ষকরা শিক্ষার্থী কর্তৃক লাঞ্ছনার নিন্দা জানিয়ে সংশ্লিষ্টদের ছাত্রত্ব বাতিল ও রাকসু নির্বাচনে প্রার্থী হলে তাদের প্রার্থিতা বাতিলের দাবি জানান। তাঁরা ঘোষণা দেন, দাবি না মানা পর্যন্ত কর্মসূচি চলবে।

ইউট্যাব রাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমরা যদি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার করতে ব্যর্থ হই, ভবিষ্যতে আরও ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে। চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের স্থায়ী বহিষ্কার করতে হবে। যাদের ছাত্রত্ব শেষ হয়েছে, তাদের সনদ বাতিল করতে হবে এবং যারা রাকসু নির্বাচনে প্রার্থী, তাদের প্রার্থিতাও বাতিল করতে হবে।’

অফিসার্স সমিতির সভাপতি মোক্তার হোসেন বলেন, ‘গত ৯ মাসে অনেক তদন্ত কমিটি হলেও একটি রিপোর্টও প্রকাশ হয়নি। আমরা আর তদন্ত কমিটিতে ক্ষান্ত থাকব না, বিচার নিশ্চিত করেই ঘরে ফিরব।’

শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়াবিজ্ঞান বিভাগের পরিচালক রোকসানা বেগম বলেন, ‘উপ-উপাচার্যসহ শিক্ষক-কর্মকর্তাদের মারধর ও লাঞ্ছনার প্রতিবাদে আমরা এখানে দাঁড়িয়েছি। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর এমন ঘটনা ঘটেনি। সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচার নিশ্চিত না করা হলে আরও ভয়াবহ কিছু ঘটতে পারে।’

সরেজমিনে দেখা যায়, প্রশাসন ভবনে উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) ও উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) দপ্তরসহ সব দপ্তরে তালা ঝুলছে। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। তবে চিকিৎসা, পরিবহনসহ জরুরি সেবাসমূহ এ কর্মসূচির বাইরে রাখা হয়েছে।

এর আগে, রোববার পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করেন শিক্ষক-কর্মকর্তারা। পরে জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম ও অফিসার্স সমিতি যৌথভাবে কমপ্লিট শাটডাউন ঘোষণা করে। পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী সোমবার অবস্থান ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।