রাবিতে ছাত্রশিবিরের মানববন্ধনের পর শাটডাউন স্থগিত

প্রকাশ : ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৫:৩৩ | অনলাইন সংস্করণ

  রাবি প্রতিনিধি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শাটডাউনের প্রতিবাদে সকাল ১১টায় ছাত্রশিবিরের মানববন্ধনের পর ৭ দিনের জন্য শাটডাউন কর্মসূচি স্থগিত করেছে অফিসার্স সমিতি।

বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টায় অফিসার্স সমিতির সভাপতি মো. মোক্তার হোসেন ও কোষাধ্যক্ষ মো. মাসুদ রানা স্বাক্ষরিত এক যৌথ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ সেপ্টেম্বর সকাল ১১টায় অফিসার্স সমিতির কার্যালয়ে কর্মকর্তা, সহায়ক, সাধারণ ও পরিবহন সমিতির প্রতিনিধিদের নিয়ে এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রশাসনের পক্ষ থেকে দাবিসমূহ দ্রুত বাস্তবায়নের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে ২৪ সেপ্টেম্বর বেলা ১টা থেকে চলমান ‘শাটডাউন’ কর্মসূচি স্থগিত ঘোষণা করা হলো। আগামী ৭ কর্মদিবসের মধ্যে যদি দাবিসমূহ বাস্তবায়ন না হয় তাহলে পরবর্তীতে সকলকে নিয়ে বৃহত্তর কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।

এর আগে, আজ বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের লাগাতার শাটডাউনের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে শাখা ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা।

মানববন্ধনে শাখা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি মুজাহিদ ফয়সাল বলেন, আজকের এই অচলাবস্থা পরিকল্পিত। একটি দলের হাইকমান্ডের নির্দেশে তৃতীয়বারের মতো নির্বাচন পিছিয়েছে। আবার শাটডাউনের মাধ্যমে রাকসুকে বানচাল করার চেষ্টা চলছে। শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করার ঘটনায় দুটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। সেই রায় দেওয়ার পর তা সন্তোষজনক না হলে তারা পুনরায় আন্দোলন করতে পারে। তদন্ত চলাকালীন এই শাটডাউন অযৌক্তিক।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসার্স সমিতির কোষাধ্যক্ষ মাসুদ রানা বলেন, “গতকাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাথে আমাদের অফিসার্স সমিতির একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে আমাদের দাবি-দাওয়ার কথা শুনে আমাদের আশ্বস্ত করেন। আমরা চাই শিক্ষক-কর্মকর্তা লাঞ্ছনার ঘটনায় যেসব ছাত্র জড়িত তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হোক। প্রশাসন আমাদেরকে আশ্বস্ত করেছেন। আমরা প্রশাসনকে ৭ দিনের আলটিমেটাম দিয়ে আমাদের চলমান কর্মসূচি প্রত্যাহার করছি। সাত দিনের মধ্যে আমাদের দাবি বাস্তবায়ন না হলে আমরা আরও কঠোর আন্দোলনে যাব।”

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক প্রফেসর মো. আখতার হোসেন মজুমদার বলেন, “রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কাজে ফিরেছে, দাপ্তরিক কার্যক্রম পূর্ণরূপে সচল হয়েছে।”