চাকসু নির্বাচন
আঙুলের কালির দাগ মুছে যাচ্ছে, অভিযোগ ছাত্রদল-শিবিরের
প্রকাশ : ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ১২:৩৬ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনে ভোট দেওয়া শেষে ভোটারদের আঙুলে দেওয়া অমোচনীয় কালির দাগ মুছে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ছাত্রদল সমর্থিত সহ-সভাপতি (ভিপি) প্রার্থী সাজ্জাদ হোসেন হৃদয় এবং ছাত্রশিবির সমর্থিত ভিপি প্রার্থী ইব্রাহিম হোসেন রনি।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টায় আইটি ভবন কেন্দ্রে ভোট প্রদান শেষে তারা এই অভিযোগ করেন।
ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী সাজ্জাদ বলেন, ভোটারদের আঙুলে দেওয়া কালি মুছে যাচ্ছে। ফলে তারা পুনরায় ভোট দিতে যাওয়ার একটা আশঙ্কা আছে। আমি নিজেও এখন ভোট দিয়ে এসেছি, কিন্তু আমার আঙুলের কালি মুছে গেছে। বিষয়টি আমরা লিখিতভাবে নির্বাচন কমিশনকে জানাবো।
অন্যদিকে, ছাত্রশিবিরের ভিপি প্রার্থী ইব্রাহিম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছিল, এমন কালি ব্যবহার করা হবে যা কয়েক দিনেও মুছে ফেলা যাবে না। কিন্তু দুঃখজনকভাবে দেখা যাচ্ছে, শিক্ষার্থীদের আঙুলের কালি কিছুক্ষণের মধ্যেই উঠে যাচ্ছে। নির্বাচনের শুরুতেই এটি শঙ্কার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এ বিষয়ে চাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, জাতীয় নির্বাচনে জার্মান থেকে কালি আনা হয়। ব্যবহারের পর বাকিটা ধ্বংস করে দেওয়া হয়। আমাদের নির্বাচনে সেই কালি সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি। তবে দেশের সবচেয়ে ভালো যে কালি সেটি দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, চাকসু নির্বাচনে এই কালি ব্যবহার জরুরি না, নিয়ম রক্ষার জন্য দেওয়া হয়েছে। ভোটারের আইডি কার্ড, ভোটার নম্বর ও ভোটার তালিকায় থাকা ছবিসংবলিত তথ্যের মাধ্যমে ভোটারের পরিচয় ভেরিফাই করা হচ্ছে।
এর আগে সকাল সাড়ে ৯টায় শুরু হয় চাকসু নির্বাচনের ভোটগ্রহণ, যা বিরতিহীনভাবে চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
উল্লেখ্য, দীর্ঘ ৩৫ বছর পর অনুষ্ঠিত হচ্ছে চাকসু নির্বাচন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের প্রধান প্লাটফর্ম চাকসু। বিশ্ববিদ্যালয়টির ইতিহাসে মাত্র ৬ বার চাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সর্বশেষ নির্বাচন হয়েছিল ১৯৯০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি। কেন্দ্রীয় ও হল সংসদ মিলিয়ে ৯০৭ জন প্রার্থী এবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, এবার চাকসুর ২৬টি পদের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪১৫ জন প্রার্থী। অন্যদিকে হল ও হোস্টেল সংসদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪৯৩ জন প্রার্থী। মোট ৯০৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন চাকসুতে। নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ২৭ হাজার ৫১৬ জন। এরমধ্যে ছাত্র ভোটার ১৬ হাজার ৮৪ জন এবং ছাত্রী ভোটার ১১ হাজার ৪৩৪ জন।
