রাবি শেরে বাংলা হলের শিক্ষার্থীদের স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত; সন্তুষ্ট শিক্ষার্থীরা

প্রকাশ : ২১ নভেম্বর ২০২৫, ২০:২৯ | অনলাইন সংস্করণ

  রাবি প্রতিনিধি

ভূমিকম্পে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শেরে বাংলা ফজলুল হক হলের দেয়ালে নতুন করে ফাটল দেখা দেওয়ায় শিক্ষার্থীদের মাঝে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনায় নিরাপত্তা চেয়ে ও হল পরিবর্তনের দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ করেন হলের শিক্ষার্থীরা। এরপরই জরুরি মিটিং করে তাদেরকে নবনির্মিত হলে (সাকিব-রায়হান) স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার (২১ নভেম্বর) দুপুর ৩টায় রাকসু প্রতিনিধি, হলের শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এক জরুরি মিটিংয়ে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। আগামীকাল থেকে তারা নতুন হলে উঠতে পারবেন বলে জানা গেছে।

সিদ্ধান্তে সন্তু জানিয়ে শেরেবাংলা হলের আবাসিক শিক্ষার্থী নাঈম বলেন, আমরা অনেকদিন ধরেই দাবি করে আসছি আমাদের এই হলটি সংস্কার বা আমাদেরকে অন্য হলে নেওয়ার জন্য। আজকে ভূমিকম্প হওয়ার পরে আমরা সবাই বাইরে বের হয়ে আসি এবং সকাল থেকেই আমরা বিক্ষোভ করে আসছি। আলহামদুলিল্লাহ আমাদের নতুন হলে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত এসেছে। এই সিদ্ধান্তে আমরা খুবই খুশি। 

রাকসু ভিপি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ বলেন, গত কয়েকমাস যাবৎ এই হলের শিক্ষার্থীরা তাদেরকে স্থানান্তরের দাবি জানিয়ে আসছে। আলহামদুলিল্লাহ আমরা আজ সেই দাবিটি আদায় করতে পেরেছি। আমরা জুমার নামাজের পর প্রশাসনের সাথে মিটিংয়ে বসেছিলাম। তারা নতুন হল প্রদর্শন করে আমাদেরকে জানিয়েছে এবং শেরা বাংলা হলের শিক্ষার্থীদের স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীরা আজকেই হলে উঠতে পারবে। 

এ ব্যাপারে শেরে বাংলা ফজলুল হক হলের প্রাধ্যক্ষ মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘সরেজমিনে দেখে নিশ্চিত হয়েছি যে হলটি নিঃসন্দেহে ঝুঁকিপূর্ণ। এই অবস্থায় ছাত্ররা বা আমরা কেউ নিরাপদ নই। ছাত্রদের পরীক্ষা ও টিউটোরিয়াল চলছে, তাই হুট করে হল বন্ধ করে দেওয়া বা তাদের বাড়ি পাঠানো সম্ভব নয়। জুমার নামাজের পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও হল প্রশাসন যৌথভাবে বসে ছাত্রদের নিরাপত্তার বিষয়টি অগ্রাধিকার দিয়ে দ্রুত স্থানান্তরের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আজকে রাতের মধ্যে আমরা অ্যালোট দিয়ে দেবো, শিক্ষার্থীরা কাল থেকে উঠতে পারবে।

তিনি আরও বলেন, কেউ যদি চায় সে অন্য কোথাও থাকতে পারবে। এটা সম্পূর্ণ ঐচ্ছিক বিষয়। এখানে তারা যেই রুমে ছিল সে অনুযায়ী অ্যালট দেওয়া হবে। তবে ফ্লোরিং করে থাকা লাগবে দুই সিটের জায়গায় তিনজন করে থাকতে হবে তাদেরকে। হল এখনো পর্যন্ত সম্পূর্ণ প্রস্তুত না।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. সালেহ হাসান নকীব বলেন, নতুন হলটি এখনো সম্পূর্ণ প্রস্তুত না। রুম নিয়ে কিছু প্রশ্ন থেকে যায়। আমরা চেষ্টা করছি ঝুঁকিটা কমিয়ে তাদের জন্য একটা ব্যবস্থা করা যায় কি না। যারা খুবই ফিল করছে যে তাদের হল পরিবর্তনের দরকার তাদের এই সুযোগটা একটা অস্থায়ী ভিত্তিতে আমরা দিতে পারি। সে জায়গা থেকে তাদেরকে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। হল প্রশাসন এবং শিক্ষার্থীরা সিদ্ধান্ত নিয়ে নতুন হলে যেতে পারবে।