টাইমস হায়ার এডুকেশন র্যাঙ্কিংয়ে এবারও স্থান পায়নি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়
প্রকাশ : ২৪ নভেম্বর ২০২৫, ১২:৪৯ | অনলাইন সংস্করণ
নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

যুক্তরাজ্যভিত্তিক খ্যাতনামা শিক্ষা সাময়িকী টাইমস হায়ার এডুকেশন (টিএইচই) বিশ্বের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মান যাচাই করে প্রতিবছর র্যাঙ্কিং প্রকাশ করে থাকে। ২০২৬ সালের টাইমস হায়ার এডুকেশন (THE) ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিং-এ তালিকায় বিশ্বে ৫২তম এবং দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে শীর্ষে রয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। তবে এবারও এই র্যাঙ্কিং-এ স্থান পায়নি জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় (জাককানইবি)।
বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) প্রকাশিত এ তালিকায় বাংলাদেশের সরকারি ও বেসরকারি মোট ১২টি বিশ্ববিদ্যালয় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এর মধ্যেও নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় আবারও ‘Unranked’ অবস্থানে রয়েছে।
র্যাঙ্কিং তৈরিতে শিক্ষা, গবেষণা পরিবেশ, গবেষণার উৎকর্ষতা, শিল্প–সংযোগ এবং আন্তর্জাতিকীকরণসহ পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক বিবেচনা করে THE। সংশ্লিষ্টদের মতে, নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা প্রকাশনা তুলনামূলক কম, আন্তর্জাতিক জার্নালে গ্রহণযোগ্যতার হার নিম্নমানের এবং যৌথ গবেষণা ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতায় পিছিয়ে থাকায় প্রতিষ্ঠানটি এখনো বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় দৃশ্যমান হতে পারছে না।
এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়টির অবস্থান সমসাময়িক অন্যান্য আন্তর্জাতিক র্যাঙ্কিংয়েও তেমন উল্লেখযোগ্য নয়। Webometrics-এর সর্বশেষ তালিকায় নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান বিশ্বব্যাপী ৬,৩৪২তম। EduRank-এ বিশ্ববিদ্যালয়টি বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে ৬,৭২৭তম এবং বাংলাদেশে ৪৭তম স্থানে রয়েছে। বিষয়ভিত্তিক র্যাঙ্কিংয়েও কম্পিউটার বিজ্ঞান, গণনীতি, অর্থনীতি ও ইঞ্জিনিয়ারিং খাতে গবেষণা আউটপুট সীমিতই দেখা যায়।
AD Scientific Index–এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান বাংলাদেশে ৪৮তম। যদিও কয়েকজন শিক্ষক গবেষক তাদের H-index, উদ্ধৃতি এবং গবেষণা প্রভাবের ভিত্তিতে তালিকাভুক্ত হয়েছেন, তবে সামগ্রিকভাবে অবস্থান তেমন শক্তিশালী নয়। UniRanks–এর তালিকায় নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্ব র্যাঙ্ক ৮১২৪, যা মূলত ওয়েব–উপস্থিতি ও সহজলভ্য প্রাথমিক তথ্যের ওপর ভিত্তি করে নির্ধারণ করা হয়।
শিক্ষা বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই ধারাবাহিক পিছিয়ে পড়া কাটিয়ে উঠতে হলে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়কে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। গবেষণা অবকাঠামো উন্নয়ন, গবেষণা তহবিল বৃদ্ধি, আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্ব জোরদার করা এবং ওপেন–অ্যাক্সেস সম্পদ সম্প্রসারণের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় ভবিষ্যতে উন্নত র্যাঙ্কিং অর্জন করতে পারে।
