প্রাথমিক সহকারী শিক্ষকদের মঙ্গলবারের পরীক্ষাও বর্জনের ঘোষণা

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা আগামীকাল মঙ্গলবারের বার্ষিক পরীক্ষাও বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। সোমবার (১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে ‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ’।

পরিষদের অন্যতম আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামছুদ্দিন মাসুদ ও মু. মাহবুবর রহমান জাগো নিউজকে জানান, দাবি পূরণে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া না পাওয়ায় আগামীকালও পরীক্ষা বর্জনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সারাদেশে সব বিদ্যালয়ে আজ স্বতস্ফূর্তভাবে কর্মবিরতি পালিত হয়েছে। দাবি পূরণ না করা পর্যন্ত এই কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।

শিক্ষকরা তিন দফা দাবি আদায়ে গত ২৭ নভেম্বর থেকে লাগাতার কর্মবিরতি পালন করছেন। সোমবার থেকে শুরু হওয়া বার্ষিক বা তৃতীয় প্রান্তিক পরীক্ষাও বর্জনের ডাক দিয়েছেন তারা।

প্রাথমিক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের ডাকে সারাদেশে অধিকাংশ বিদ্যালয়ে বার্ষিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি। তবে কোথাও কোথাও পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার খবরও পাওয়া গেছে।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্র জানায়, সারাদেশে বর্তমানে ৬৫ হাজার ৫৬৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এসব বিদ্যালয়ে তিন লাখ ৮৪ হাজারের বেশি শিক্ষক কর্মরত, যার বেশিরভাগই সহকারী শিক্ষক। বর্তমানে প্রধান শিক্ষকরা দশম গ্রেডে উন্নীত হয়েছেন, আর সহকারী শিক্ষকরা ১৩তম গ্রেডে বেতন-ভাতা পাচ্ছেন। গ্রেড উন্নীতকরণের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চালাচ্ছেন তারা।

গত ৮ থেকে ১২ নভেম্বর শিক্ষকরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। কর্মসূচির সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে দেড় শতাধিক শিক্ষক আহত হন। পরবর্তীতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের আশ্বাসে শিক্ষকরা ক্লাসে ফিরে যান, কিন্তু প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন না হওয়ায় ফের কর্মবিরতি শুরু হয়েছে।

সহকারী শিক্ষকদের মূল দাবি হলো দশম গ্রেডে বেতন নির্ধারণ, ১০ ও ১৬ বছরের পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড সমস্যা সমাধান এবং শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতি। সরকার আপাতত সরাসরি দশম গ্রেড দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে ১১তম গ্রেডের সুপারিশ করেছে। শিক্ষকরা ১১তম গ্রেড দেওয়ার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের দাবি করছেন।