ইবিতে সাজিদ হত্যার বিচার দাবিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

প্রকাশ : ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭:০৪ | অনলাইন সংস্করণ

  ইবি প্রতিনিধি

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থী সাজিদ আব্দুল্লাহ হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে শিক্ষার্থীরা এ মানববন্ধনের আয়োজন করে।

পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সংগঠন জিয়া পরিষদ, গ্রিন ফোরাম ও সাদা দলের শিক্ষকরা এসে এতে একাত্মতা জানান।

এছাড়াও শাখা ছাত্রদল, ছাত্রশিবির, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন ও জমিয়তে তালাবায়ে আরাবিয়ার নেতৃবৃন্দ মানববন্ধনে অংশ নেন।

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন জিয়া পরিষদের কেন্দ্রীয় মহাসচিব অধ্যাপক ড. এমতাজ হোসেন, ইউট্যাব ইবি শাখার সভাপতি অধ্যাপক ড. তোজাম্মেল হোসেন, সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. এ কে এম মতিনুর রহমান, গ্রিন ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান ও জিয়া পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ, সদস্য সচিব মাসুদ রুমি মিথুন, শাখা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি ইউসুব আলী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক এস এম সুইট, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি ইসমাইল হোসেন রাহাত এবং জমিয়তে তালাবায়ে আরাবিয়ার সেক্রেটারি এস এম শামীমসহ অন্য শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

এসময় শিক্ষার্থীরা বলেন, ভিসেরা রিপোর্টসহ সব রিপোর্টে সাজিদ আব্দুল্লাহকে হত্যার বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে। আগামী ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে যদি খুনিদের আইনের আওতায় না আনা হয়, তবে তারা ভিসি ও প্রো-ভিসির কার্যালয় ঘেরাও করবেন। বিচার না হলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ‘লাল কার্ড’ দেখানোর হুঁশিয়ারিও দেন তারা।

একাত্মতা প্রকাশ করে অধ্যাপক ড. এমতাজ হোসেন বলেন, “সাজিদ হত্যার ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটিতে আমি ছিলাম এবং দ্রুতই আমরা রিপোর্ট দিয়েছি। ভেবেছিলাম, সাজিদের হত্যার বিচারও দ্রুতই সম্পন্ন হবে। কিন্তু ছয় মাস পার হলেও একটি হত্যা মামলার আসামিদের শনাক্ত করতে পারেনি প্রশাসন। বিচার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলনের সঙ্গে থাকব।”

সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. এ কে এম মতিনুর রহমান বলেন, “১৪৫ দিন পার হওয়ার পরও দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি নেই। প্রশাসনের সদিচ্ছা থাকলে এতদিনে খুনিদের শনাক্ত করা যেত। আমি মনে করি, ইচ্ছাকৃতভাবে বিলম্ব করা হচ্ছে। সাজিদ আমাদের জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম অগ্রনায়ক ছিলেন, তার হত্যার বিচার না হওয়া অত্যন্ত দুঃখজনক।”

গ্রিন ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “আমাদের প্রত্যাশা ছিল—রিপোর্ট জমা দেওয়ার পর দ্রুত সমাধান হবে। কিন্তু পাঁচ মাস পার হয়ে গেলেও সিআইডি প্রকৃত সত্য সামনে আনতে পারেনি। আমরা হত্যার দায়ীদের শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানাই। নিরাপদ ক্যাম্পাস আমাদের অধিকার।”

উল্লেখ্য, গত ১৭ জুলাই বিকেলে শাহ আজিজুর রহমান হলের পুকুর থেকে আল কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী সাজিদের লাশ উদ্ধার করা হয়। ভিসেরা রিপোর্টে জানা যায়, তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।