সারাদেশে একযোগে স্কুল-মাদ্রাসার বৃত্তি পরীক্ষা শুরু

প্রকাশ : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:১০ | অনলাইন সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

সারাদেশে একযোগে শুরু হয়েছে স্কুল ও মাদ্রাসার বৃত্তি পরীক্ষা।

রোববার (২৮ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা থেকে দেশের ৬১১টি কেন্দ্রে অষ্টম শ্রেণির জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা এবং মাদ্রাসার পঞ্চম শ্রেণির ইবতেদায়ি ও অষ্টম শ্রেণির দাখিল বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। পরীক্ষা চলবে দুপুর ১টা পর্যন্ত।

মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকার তত্ত্বাবধানে জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা এবং মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের তত্ত্বাবধানে ইবতেদায়ি ও দাখিল বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

প্রকাশিত সময়সূচি অনুযায়ী, সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) ইংরেজি, মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) গণিত এবং আগামী ৩১ ডিসেম্বর (বুধবার) বিজ্ঞান এবং বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষার সব প্রশ্ন জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) প্রণীত অষ্টম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ের আলোকে প্রস্তুত করা হয়েছে।

ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড সূত্র জানায়, দীর্ঘ বিরতির পর এবার জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা আয়োজন করা হচ্ছে। এ বছর অংশ নিচ্ছে মোট ৩ লাখ ৪৬ হাজার ৫৯১ জন শিক্ষার্থী। দেশের ৬১১টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিতব্য এ পরীক্ষা নির্বিঘ্ন করতে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন, মুদ্রণ, বিতরণ এবং কেন্দ্র ব্যবস্থাপনায় সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে শিক্ষা বোর্ডগুলো।

নীতিমালা অনুযায়ী, জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষায় মোট পাঁচটি বিষয়ে মূল্যায়ন করা হবে। বিষয়গুলো হলো—বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান এবং বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়। এরমধ্যে বাংলা, ইংরেজি ও গণিত বিষয়ে ১০০ নম্বর করে থাকবে। বিজ্ঞান ও বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ে ৫০ নম্বর করে পরীক্ষা নেওয়া হবে। সব মিলিয়ে মোট ৪০০ নম্বরের ওপর বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

নীতিমালায় আরও বলা হয়েছে, শিক্ষার্থীদের দুই ধরনের জুনিয়র বৃত্তি দেওয়া হবে। ট্যালেন্টপুল বৃত্তি ও সাধারণ বৃত্তি। সব ধরনের বৃত্তির ৫০ শতাংশ ছাত্রদের এবং ৫০ শতাংশ ছাত্রীদের জন্য নির্ধারিত থাকবে।

তবে নির্ধারিত কোটায় যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে ছাত্রের বৃত্তি ছাত্রী দ্বারা এবং ছাত্রীর বৃত্তি ছাত্র দ্বারা পূরণ করা যাবে। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন পরীক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ৩০ মিনিট সময় বরাদ্দ থাকবে।

সবশেষ ২০০৯ সালে অষ্টম শ্রেণিতে বৃত্তি পরীক্ষা নিয়েছিল সরকার। এরপর অষ্টম শ্রেণিতে চালু করা হয়েছিল জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা। সমালোচনার মুখে ২০২৩ সালে জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা না নিয়ে একই সিলেবাসের আদলে অষ্টম শ্রেণিতে বার্ষিক পরীক্ষার নেওয়া হয়।