খুন হয়েছিলেন সুশান্ত সিং, দাবি মর্গকর্মীর
প্রকাশ : ২৭ ডিসেম্বর ২০২২, ১৬:১৪ | অনলাইন সংস্করণ
অনলাইন সংস্করণ

বলিউড অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর আড়াই বছর পার হয়ে গেলেও জট খোলেনি তার মৃত্যু রহস্যের।হত্যা নাকি আত্মহত্যা, ভক্তদের মনে নানা প্রশ্ন তার মৃত্যুকে ঘিরে।
নানা আলোচনা মধ্যেই এবার সুশান্তের মৃত্যু নিয়ে গণমাধ্যমের সামনে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন তার ময়নাতদন্তের সময় উপস্থিত থাকা এক মর্গকর্মী।
রূপকুমার শাহ নামের কুপার হাসপাতালের ওই কর্মীর দাবি, সুশান্ত আত্মহত্যা করেননি; তাকে হত্যা করা হয়েছিল।
সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে রূপকুমার শাহ এমন দাবি করেন বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস নাউ।
রূপকুমার শাহ জানান, ময়নাতদন্তের জন্য যখন সুশান্তকে হাসপাতালে আনা হয়, তখন তার গলায় এবং দেহে একাধিক ক্ষতের দাগ ছিল। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে সে কথা তিনি জানিয়েছিলেন বলেও দাবি করেন। কিন্তু কর্তৃপক্ষ তখন তাকে নির্দেশ মেনে কাজ করতে বলেন।
রূপকুমারের দাবি, মৃতদেহ প্রথমবার দেখেই তিনি বুঝতে পেরেছিলেন, এটি আত্মহত্যা নয়।
ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তাকে নির্দেশ দেন, দ্রুত কাজ সেরে মৃতদেহ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করতে।
রূপকুমার শাহ রূপকুমার শাহ জানান, সেদিন কুপার হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য মোট পাঁচটি দেহ এসেছিল। পাঁচটির মধ্যে একটি দেহ ছিল ভিআইপির।
তিনি বলেন, 'ময়নাতদন্ত করতে গিয়ে জানতে পারি, দেহটি সুশান্তের। তার সারা গায়ে বেশকিছু চিহ্ন ছিল। আর গলা-ঘাড়ের কাছেও তিনটি দাগ ছিল। মৃতদেহের ময়নাতদন্তের ভিডিও রেকর্ড হওয়ার কথা। কিন্তু উচ্চপদস্থরা বলেন, শুধু স্টিল ছবিই তোলা হবে। আমরা সেভাবেই কাজটি করি।'
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ১৪ জুন মুম্বাইয়ের আবাসন থেকে সুশান্তের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। প্রাথমিক তদন্তে বলা হয়েছিল, আত্মহত্যাই করেছেন সুশান্ত। যদিও তার পরিবার দাবি করে, খুন করা হয়েছিল অভিনেতাকে।
প্রাথমিকভাবে অভিনেতার রহস্য মৃত্যুর তদন্ত শুরু করেছিল মুম্বাই পুলিশ। তারপর তদন্তভার দেওয়া হয় ইডি (এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট) এবং এনসিবি (নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো)- র হাতে।
সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছিল বিভিন্ন মাদক চক্রের নামও। এমনকি গ্রেপ্তার হয়েছিলেন অভিনেতার বিশেষ বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তী ও তার ভাই। পরে অবশ্য দুজনেই ছাড়া পান।
ভক্তদের অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন এ মামলার তদন্ত নিয়ে; কেন ময়নাদতন্তের কোনো ভিডিও ফুটেজ নেই, তা নিয়েও প্রশ্ন ওঠেছে।
