হুমকির মুখে তনুশ্রী

প্রকাশ : ২৮ জুলাই ২০২৫, ১২:৫৫ | অনলাইন সংস্করণ

  বিনোদন ডেস্ক

বলিউড অভিনেত্রী তনুশ্রী দত্ত। পেয়েছিলেন মিস ইন্ডিয়ার খেতাবও। তবে, দীর্ঘদিন ধরে বড় পর্দার বাহিরে তিনি। সম্প্রতি সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে একটি ভিডিও দিয়ে খবরের শিরোনামে এসেছেন তনুশ্রী।

ওই ভিডিওতে এ বলিউড অভিনেত্রী দাবি করেন, হ্যাশট্যাগ মি টু আন্দোলনে মুখ খোলার পর থেকে তিনি সমস্যায় আছেন। তাকে হত্যার চেষ্টা করা হচ্ছে। এমনকি, সহায়তা চেয়েও তিনি পুলিশের সাহায্য পাচ্ছেন না।

প্রতিবেদনে ভারতীয় গণমাধ্যমটি জানিয়েছে, গত মঙ্গলবার সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মের নিজের অ্যাকাউন্ট থেকে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন তনুশ্রী। ওই ভিডিওতে তিনি দাবি করেন, নিজ বাড়িতে তাকে হয়রানি করা হচ্ছে। ভিডিওতে তনুশ্রী বলতে শোনা যায়, ‘আমি নিজের ঘরে হয়রানির শিকার হচ্ছি। আমি পুলিশকে ফোন দিয়েছিলাম। তবে, তারা আমাকে থানায় এসে লিখিত অভিযোগ দিতে বললো। সম্ভবত আমি আগামীকাল বা পরের দিন থানায় যাবে। আমি সুস্থ নেই। সর্বশেষ পাঁচ বছর ধরে আমাকে হয়রানি করা হচ্ছে। আমি অসুস্থ হয়ে পড়েছি।’ তনুশ্রী জানান, গত পাঁচ বছর ধরে তার উপর যে যন্ত্রণা, চাপ ও ভয় রয়েছে তার ফল এ ভিডিও। বিষয়টি নিয়ে তনুশ্রীর সঙ্গে কথা ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআই। এ অভিনেত্রী বলেন, ‘এটা কোনো স্ট্যান্ট বা ড্রামা নয়। ২০১৮ সালে মি টু আন্দোলনের পর থেকে আমি যে অবস্থায় রয়েছি তার পরিস্কার অবস্থান।’ তিনি আরও বলেন, ‘প্রথমত, আমি বলতে চাই যে এটি ছিল আমার আবেগঘন প্রতিক্রিয়া। গত পাঁচ বছরে আমার সঙ্গে অনেক অদ্ভুত ঘটনা ঘটেছে। মি টু আন্দোলনে জড়ানোর পর থেকে এমনটি হচ্ছে। আমার এগুলো বুঝতে সময় লেগেছে।’ এ বলিউড অভিনেত্রী বলেন, ‘আমি দুর্ঘটনার শিকার হয়। আমার গাড়ির ব্রেক ফেইল হয়। এছাড়া আমার খাবারে এমন কিছু মেশানো হয় যাতে আমি অসুস্থ হয়ে পরি। এমনকি, আমার বাড়ির চারপাশেও অদ্ভুত সব ঘটনা ঘটতে থাকে।’ সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির কারও কাছে সাহায্য চেয়েছেন কি না বা সাহায্য করেছে কি না এমন জবাবে তনুশ্রী বলেন, আমার এখন কোনো বন্ধু নেই। এসব ঘটনা শুরু হওয়ার পর যেকজন বন্ধু ছিল তারা সরে গিয়েছে।’ এদিকে, তনুশ্রীর ভিডিও নিয়ে বাজে মন্তব্য করছেন নেটিজেনরা। তাদের দাবি, বিগ বস শোতে জায়গা নিতেই এমন ড্রামা করছেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন তনুশ্রী। তিনি বলেন, ‘মানুষ বলবেই। ২০০৮ সাল থেকে আমি অভিনয় করি। একই কথা মি টু আন্দোলনের সময়ও বলা হয়েছিল। এসব লোক কারা।’