গানে গানে মুগ্ধতা ছড়ালেন কণা-জয়-মৌসুমী
প্রকাশ : ১১ অক্টোবর ২০২৫, ১৫:০২ | অনলাইন সংস্করণ

ঢাকার এতিহ্যবাহী এবং কালের সাক্ষী হয়ে থাকা ক্লাব ‘ঢাকা ক্লাব’ ১৯১১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে এই ক্লাবের বয়স ১১৪ বছর। ‘ঢাকা ক্লাব লিমিটেড’-এর নতুন কমিটির অর্থাৎ ‘বোর্ড অব ডিরেক্টরসদের (বিওডি) একশত দিন উদযাপন উপলক্ষে ঢাকা ক্লাবে আয়োজন করা হয় একটি বিশেষ অনুষ্ঠান। বিশেষ অনুষ্ঠানের সাংস্কৃতিক সন্ধ্যায় সঙ্গীত পরিবেশন করেছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত গায়িকা দিলশাদ নাহার কণা, ঢাকার ক্লাবগুলোর কাছে চাহিদার সর্বোচ্চতে থাকা এই প্রজন্মের শ্রোতাপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী জয় ও এই প্রজন্মের শ্রোতাপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী আয়েশা মৌসুমী। রাত ঠিক আটটা ত্রিশ মিনিটে স্টেজ-এ উঠেন জয়। তিনি শুরুতেই কয়েকটি বাংলাদেশ ও ভারতের পুরোনো দিনের গান পরিবেশন করেন। এরপর উপস্থিত দর্শকের বিশেষ অনুরোধে তিনি বেশ কয়েকটি হিন্দী গানও পরিবেশন করেন। শুরুতেই জয়ের পরিবেশনা সবাইকে এতোটাই মুগ্ধ করে যে কণা ও মৌসুমীর গানের পরিবেশন শেষেও জয়কে আবারও স্টেজ-এ উঠে গান পরিবেশন করতে হয়। জয়ের গান শুনে কিছু কিছু দর্শক বিস্মিতও হন বটে।
কারণ তার গায়কী, গানে গানে তার উপস্থাপন একেবারেই ব্যতিক্রম। অনুষ্ঠান চলাকালীন সময়ে সবার সঙ্গে সদা হাস্যোজ্জ্বল মুখে কুশলাদি বিনিময় করেন ক্লাবের প্রেসিডেন্ট শামীম হোসেইন। জয়ের পর স্টেজ-এ উঠেন কণা। সাধারণত তিনি নিজের গানই গেয়ে থাকেন। কিন্তু এবার নিজের গানের পাশাপাশি বাংলাদেশের গানের গর্ব জীবন্ত কিংবদন্তী সঙ্গীতশিল্পী রুনা লায়লার ‘শেষ করোনা শুরুতে খেলা’ গানটি পরিবেশন করেন কণা। এই গানে তার উপস্থাপন দর্শক ভীষণ পছন্দ করেন। পাশাপাশি কণা কিনে দে কিনে দে রেশমী চুরি, ওহে শ্যাম, দিয়েছি তোকে দিল দিল দিল, দুষ্টু কোকিলসহ তার নিজের আরও বেশকিছু গান পরিবেশন করেন। কণার গাওয়া প্রতিটি গানই দর্শক মনোযোগ দিয়ে উপস্থাপন করেন। যেহেতু টাইম লিমিটেড ছিল, তারপরও দর্শকের অনুরোধে কণাকে একের পর এক গান গাইতে হয়েছিল। বাংলাদেশের স্টেজ শোতে এই সময়ে কণারই চাহিদা রয়েছে সবচেয়ে বেশি। যে কারণে স্টেজ শোতে এই মুহূর্তে তারই ব্যস্ততা বেশি। কণার পর মঞ্চে উঠেন আয়েশা মৌসুমী। মৌসুমীও বাংলা ও হিন্দী গান গেয়ে পরপর দুই পর্যায়ে শ্রোতা দর্শককে মুগ্ধ করেন। তবে তার কণ্ঠে ‘দামাদাম মাস কালান্দার’ গানটি অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে এসে যেন অনুষ্ঠানটিকে পরিপূর্ণ করে তোলে। কণা বলেন, ‘ঢাকা ক্লাবের পরিবেশটাই আসলে অন্যরকম। এখানে গান করাটা সবসময়ই ভীষণ ভালোলাগার।’ জয় বলেন, ‘আমার গান সবার মধ্যে ভালোলাগা ছড়িয়েছে এটাই যেন অনেক বড় প্রাপ্তি।’
