ঢাকা মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫, ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

মালয়েশিয়ায় গ্যাস পাইপলাইনে বিস্ফোরণে আহত বেড়ে ১১২

মালয়েশিয়ায় গ্যাস পাইপলাইনে বিস্ফোরণে আহত বেড়ে ১১২

মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরের রাষ্ট্রীয় জ্বালানি সংস্থা ‘পেট্রোনাস’-এর একটি গ্যাস পাইপলাইনে বিস্ফোরণের ঘটনায় আহতের সংখ্যা শতাধিক ছাড়িয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

সিএনএন লিখেছে, কুয়ালালামপুরের নিকটবর্তী পুত্রা হাইটসে একটি গ্যাস স্টেশনের কাছে বিস্ফোরণটি ঘটে। ভয়াবহ ওই আগুন কয়েক ঘণ্টা স্থায়ী ছিল, যা দেখা গেছে কয়েক কিলোমিটার দূর থেকেও।

দেশটির সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিমরা ঈদ উদযাপনের পরদিন মঙ্গলবার এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে আগুনের শিখা ২০ তলা পর্যন্ত উঁচুতে উঠে গিয়েছিল।

দেশটির জাতীয় তেল কোম্পানি পেট্রোনাস জানিয়েছে, স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ১০ মিনিটে তাদের একটি গ্যাস পাইপলাইনের লিক থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় এবং পরে ক্ষতিগ্রস্ত পাইপলাইনটি বিচ্ছিন্ন করা হয়। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তারা জানান, ভালভ বন্ধ করে দিলে বাকি আগুন নিভে যাবে।

কুয়ালামপুরকে ঘিরে থাকা রাজ্য সেলাঙ্গরের দমকল বিভাগ স্টার সংবাদপত্রকে জানায়, তীব্র তাপের কারণে দমকল কর্মীদের আগুনের শিখা পর্যন্ত পৌঁছাতে দুপুর পৌনে ৩টা বেজে যায়।

সেলাঙ্গর পুলিশের উপ-প্রধান মোহাম্মদ জাইনি আবু হাসানকে উদ্ধৃত করে রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা বার্নামা জানিয়েছে, আগুনে অন্তত ৪৯টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, আহত হয়েছেন ১১২ জন। তাদের মধ্যে ৬৩ জনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে- এদের মধ্যে কেউ দগ্ধ হয়েছেন, কেউ শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন, কারোবা অন্য আঘাত ছিল।

সেলাঙ্গরের মুখ্যমন্ত্রী আমিরুদ্দিন শারি বলেছেন, নিরাপত্তা ব্যবস্থা হিসেবে দমকল বিভাগ আশপাশের বাড়িগুলো থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নিয়েছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত তাদের নিকটবর্তী মসজিদগুলোতে রাখা হচ্ছে।

আগুনের বিশাল কুণ্ডুলির ছবি ও ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা জানিয়েছেন, তারা তাদের বাড়ির দরজা ও জানালা কাঁপতে দেখেছেন আর প্রচণ্ড কম্পন অনুভব করেছেন।

বাম পা পুড়ে যাওয়া লি ওয়েং কেন বলেন, যখন তার বাড়ির ছাদ ধসে পড়ে প্রাঙ্গণে রাখা গাড়ি চুরমার হচ্ছিল, তখন তিনি হতবাক হয়ে যান।

বার্নামাকে তিনি বলেন, “আমি আমার ঘর থেকে তাড়াহুড়ো করে বেরিয়ে আসি কিন্তু বাড়ির কাছে আগুনের তীব্র তাপে পুড়ে যাই।”

আরেক ভুক্তভোগী, যিনি নিজেকে অ্যান্ডি বলে পরিচয় দিয়েছেন বার্নামাকে বলেন, যখন কম্পন হচ্ছিল এবং প্রায় ১০০ মিটার (৩২৮ ফুট) দূরে বিশাল আগুন চোখে পড়ে, তখন তিনি বাচ্চাদের নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন।

“আমি কেবল গাড়িটি বের করতে পেরেছিলাম। আমার ১৮ বছর বয়সী মেয়ে বেড়া ডিঙ্গানোর সময় তাপ সহ্য করতে না পেরে পড়ে গিয়ে পায়ে আঘাত পায়।”

পেট্রোনাস জানিয়েছে, সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে তিনটি গ্যাস স্টেশন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, যদিও সেগুলোতে কোনো প্রভাব পড়েনি। তদন্ত চলমান আছে।

আহত,গ্যাস
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত