ভারতের আপত্তি সত্ত্বেও শুক্রবার পাকিস্তানের জন্য একটি ঋণ কর্মসূচি পর্যালোচনার অনুমোদন দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। ফলে প্রায় ১০০ ডলার জরুরি তহবিল ছাড় করার পথ উন্মুক্ত হয়েছে।একইসঙ্গে আইএমএফ নতুন ১৪০ কোটি মার্কিন ডলারের একটি বেইলআউট প্যাকেজও অনুমোদন দিয়েছে।
পাকিস্তান ২০২৩ সালে দেউলিয়া হওয়ার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যায়, যখন রাজনৈতিক সংকট আর অর্থনৈতিক মন্দা এক সঙ্গে মিশে দেশটির ঋণের বোঝা চরম মাত্রায় পৌঁছে। তখন আইএমএফের ৭০০ কোটি মার্কিন ডলারের বেইলআউট প্যাকেজ পাকিস্তানকে রক্ষা করে। এটি ১৯৫৮ সালের পর থেকে তাদের ২৪তম আইএমএফ সহায়তা।
আইএমএফ এক বিবৃতিতে বোর্ডের প্রথম ঋণ পর্যালোচনার অনুমোদনের কথা উল্লেখ করে গণমাধ্যমের খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেছে, ‘পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষ শক্তিশালী কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে, যা অর্থায়ন এবং বৈদেশিক খাতে উন্নতি এবং একটি ধারাবাহিক অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে সহায়তা করেছে।’
এ ছাড়াও ‘জলবায়ু ঝুঁকি এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রতি অর্থনৈতিক সহনশীলতা গড়ে তুলতে পাকিস্তানের প্রচেষ্টাকে সমর্থন করার জন্য’ প্রায় একশ ৪০ কোটি ডলারের একটি নতুন ঋণ কর্মসূচির অনুরোধও অনুমোদন দিয়েছে আইএমএফ’র বোর্ড কর্তৃপক্ষ।
তবে পাকিস্তানের সাথে চলমান উত্তেজনার কারণে আইএমএফ বোর্ডে ভুটান, শ্রীলঙ্কা এবং বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্বকারী ভারত ভোটদানে বিরত ছিল।
ভারতের অর্থ মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘পাকিস্তানের দুর্বল রেকর্ডের কারণে সেখানে আইএমএফ কর্মসূচির কার্যকারিতা নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে।’
নয়াদিল্লি আরও আশঙ্কা প্রকাশ করেছে যে, এই অর্থ পাকিস্তান ‘রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় সীমান্তপারের সন্ত্রাসবাদে’ ব্যবহার করতে পারে।
আইএমএফ বোর্ডের এই সিদ্ধান্ত এমন এক সময়ে এসেছে, যখন ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘাত বেড়েছে এবং তিন দিনের ক্ষেপণাস্ত্র, গোলাবর্ষণ ও ড্রোন হামলায় ৫০ জনেরও বেশি নিহত হয়েছে।