অনলাইন সংস্করণ
২১:১৪, ২৩ জুলাই, ২০২৫
ওমান সাগরে ইরানি হেলিকপ্টার ও একটি মার্কিন যুদ্ধজাহাজের মধ্যে ঘটে যাওয়া সামরিক উত্তেজনার ঘটনায় কিছু সময়ের জন্য টানটান পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। তবে শেষ পর্যন্ত কোনো সংঘর্ষ না ঘটলেও, ইরানের হুঁশিয়ারির মুখে পথ বদলে পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে মার্কিন ডেস্ট্রয়ার ‘ডিডিজি ফিটজেরাল্ড’।
ইরান দাবি করছে, মার্কিন যুদ্ধজাহাজটি তাদের নজরদারির জলসীমায় প্রবেশ করেছিল। খবর রয়টার্স ও আনাদোলু এজেন্সির।
ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের বরাতে জানা গেছে, বুধবার (২৩ জুলাই) একটি মার্কিন ডেস্ট্রয়ার ও ইরানি নৌবাহিনীর একটি হেলিকপ্টারের মুখোমুখি অবস্থানের পর ইরান তৎক্ষণাৎ কঠোর বার্তা পাঠায়। দ্রুত প্রতিক্রিয়ায় ইরানি হেলিকপ্টার মার্কিন জাহাজের কাছে পৌঁছে হুঁশিয়ারি দেয়ার পর সেটি দক্ষিণ দিকে সরে যায়।
তেহরানের দাবি, মার্কিন ডেস্ট্রয়ার ‘ফিটজেরাল্ড’ উসকানিমূলকভাবে ইরানের জলসীমার খুব কাছাকাছি চলে আসে। তখন ইরানি হেলিকপ্টার থেকে সরাসরি বার্তা পাঠিয়ে এলাকা ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়। যদিও মার্কিন ডেস্ট্রয়ারটি ইরানি হেলিকপ্টারকে হুমকি দিয়েছিল বলেও জানানো হয়, তবে ইরান পক্ষের চাপের মুখে শেষ পর্যন্ত মার্কিন যুদ্ধজাহাজটি তাদের নজরদারি এলাকার বাইরে সরে যেতে বাধ্য হয়।
এ ঘটনায় এখনো মার্কিন নৌবাহিনী বা সেন্ট্রাল কমান্ডের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর মার্কিন হামলার ঘটনা এবং তেহরানের পাল্টা বক্তব্যে মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। ইরানের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি পরমাণু কর্মসূচি পুনরায় চালুর ঘোষণা দিয়েছেন। এর পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রয়োজনে ফের ইরানে হামলার হুমকি দেন।
ওমান সাগরের এই সামরিক মুখোমুখি অবস্থান ওই উত্তেজনারই ধারাবাহিকতা বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা।