কাতারে হামলার নিন্দা, আরব-ইসলামিক বিশ্বের ঐক্য জোরদারের ঘোষণা

প্রকাশ : ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:৫৮ | অনলাইন সংস্করণ

কাতারে ইসরায়েলি হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে আরব-মুসলিম দেশগুলো। সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দোহায় অনুষ্ঠিত আরব-ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি) আয়োজিত জরুরি শীর্ষ সম্মেলনের যৌথ ঘোষণায় এ নিন্দা জানানো হয়। প্রায় ৬০ দেশের নেতা ও শীর্ষ কর্মকর্তারা সম্মেলনে অংশ নেন।

যৌথ ঘোষণায় ইসরায়েলের হামলাকে আঞ্চলিক শান্তি প্রক্রিয়ার জন্য বড় ধাক্কা বলে উল্লেখ করা হয়। একইসঙ্গে সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক পুনর্বিবেচনা এবং এর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, “ইসরায়েল কাতারে কাপুরুষোচিত ও বেআইনি হামলা চালিয়েছে, যা আন্তর্জাতিক শান্তি প্রচেষ্টাকে দুর্বল করছে।” দোহাকে পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে কাতারের সংযমী ও নীতিগত অবস্থানেরও প্রশংসা করা হয়।

এর আগের দিন রোববার আরব ও ইসলামিক পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকেও কাতারের নিরাপত্তাকে আরব ও ইসলামি বিশ্বের নিরাপত্তার অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে বর্ণনা করা হয়। তারা ইসরায়েলের হামলাকে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন ও বিপজ্জনক উত্তেজনা বলে আখ্যা দেন, যা আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি।

কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি বলেন, এই সম্মেলন আরব-ইসলামিক বিশ্বের ঐক্য ও সংহতির প্রতিফলন। তিনি ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডকে ‘রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদ’ হিসেবে অভিহিত করে জানান, সোমবারের জরুরি সম্মেলনে রোববারের বৈঠকে গৃহীত খসড়া বিবৃতি চূড়ান্ত করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ৯ সেপ্টেম্বর দোহায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত গাজা যুদ্ধবিরতি আলোচনায় অংশ নিতে বসা হামাস নেতাদের টার্গেট করে ইসরায়েল বিমান হামলা চালায়। ইসরায়েল দাবি করে, তারা হামাসের নেতৃত্বকে লক্ষ্যবস্তু করেছে।

তবে হামাসের অভিযোগ, এ হামলা প্রমাণ করে নেতানিয়াহুর সরকার কোনো সমঝোতা চায় না; বরং যুদ্ধবিরতির প্রচেষ্টা বানচাল করতে চায়।

দোহায় আবাসিক ভবন লক্ষ্য করে চালানো এ হামলার নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ।