চিকিৎসায় নোবেল পেলেন যুক্তরাষ্ট্র-জাপানের তিন বিজ্ঞানী

চলতি বছরের চিকিৎসাবিজ্ঞান ও শরীরতত্ত্বে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন তিনজন খ্যাতনামা গবেষক—যুক্তরাষ্ট্রের মেরি ই ব্রাঙ্কো, ফ্রেড র‍্যামসডেল এবং জাপানের শিমন সাকাগুচি।

সোমবার (৬ অক্টোবর) বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টা ৩০ মিনিটে সুইডেনের ক্যারোলিনস্কা ইনস্টিটিউটের নোবেল অ্যাসেমব্লি এ তিন বিজ্ঞানীর নাম ঘোষণা করে। ‘পেরিফেরাল ইমিউন টলারেন্স’ সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কারের জন্য তাদের এ পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে।

মেরি ই ব্রাঙ্কো যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটেলের ইনস্টিটিউট ফর সিস্টেমস বায়োলজির গবেষক। ফ্রেড র‍্যামসডেল কাজ করেন সান ফ্রান্সিসকোর সোনোমা বায়োথেরাপিউটিক্সে। জাপানের ওসাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক হিসেবে যুক্ত আছেন শিমন সাকাগুচি।

এর আগে, ২০২৪ সালে চিকিৎসা বিভাগে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের ভিক্টর অ্যামব্রোস ও গ্যারি রুভকুন। মাইক্রোআরএনএ আবিষ্কার এবং জিন নিয়ন্ত্রণে তার ভূমিকা উন্মোচনের জন্য তাদের সম্মাননা দেওয়া হয়েছিল।

নোবেল পুরস্কার চিকিৎসা, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, সাহিত্য, শান্তি ও অর্থনীতি—এই ছয়টি বিভাগে দেওয়া হয়। চিকিৎসা, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, সাহিত্য ও অর্থনীতির পুরস্কার ঘোষণা করা হয় সুইডেনের স্টকহোম থেকে, আর শান্তি পুরস্কার ঘোষণা করা হয় নরওয়ে থেকে।

এই পুরস্কার সুইডিশ বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেলের নামে দেওয়া হয়, যিনি ডিনামাইটের আবিষ্কারক ছিলেন। তার ইচ্ছা অনুযায়ী ১৯০১ সাল থেকে এ পুরস্কার প্রদান শুরু হয়। যদিও আলফ্রেড নোবেলের উইলে অর্থনীতির কথা ছিল না, ১৯৬৮ সালে ‘দ্য ব্যাংক অব সুইডেন’-এর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অর্থনীতিতেও পুরস্কার চালু করা হয়।

ঘোষিত সূচি অনুযায়ী, আগামীকাল পদার্থবিদ্যায়, ৮ অক্টোবর রসায়নে, ৯ অক্টোবর সাহিত্যে, ১০ অক্টোবর শান্তিতে এবং ১৩ অক্টোবর অর্থনীতিতে নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে।

আগামী ১০ ডিসেম্বর, আলফ্রেড নোবেলের মৃত্যুবার্ষিকীতে স্টকহোম ও অসলোতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের হাতে ১১ মিলিয়ন সুইডিশ ক্রোনারের চেক, একটি মানপত্র ও স্বর্ণপদক তুলে দেওয়া হবে।