গাজা যুদ্ধবিরতি এবং বন্দি বিনিময়ের পরিকল্পনার প্রথম পর্যায় বাস্তবায়নে একমত হয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস এবং ইসরায়েল। শান্তি পরিকল্পনার প্রথম পর্যায়ের চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে উভয় পক্ষ। তবে, চুক্তির পরও উত্তর গাজায় ফিলিস্তিনিদের না ফেরার বিষয়ে সতর্কবার্তা দিয়েছে দখলদার ইসরায়েল।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর আরবি ভাষার মুখপাত্র আভিচায় আদ্রাই বলেন, গাজার উত্তরের এলাকা (গাজার মধ্য ও উত্তর অংশকে পৃথককারী উপত্যকা) এখনো একটি বিপজ্জনক যুদ্ধক্ষেত্র হিসেবে বিবেচিত।
তিনি আরও বলেন, ইসরায়েলি বাহিনী ‘গাজা শহরকে ঘিরে রেখেছে, সেখানে ফিরে যাওয়া অত্যন্ত বিপজ্জনক। আপনার নিরাপত্তার জন্য, উত্তরে ফিরে যাওয়া বা সেক্টরের দক্ষিণ ও পূর্বসহ সমগ্র সেক্টরে ইসরায়েলি বাহিনী অবস্থান করছে এবং তৎপরতা চালাচ্ছে এমন এলাকায় পৌঁছানো থেকে বিরত থাকুন। যতক্ষণ সরকারি নির্দেশ জারি করা না হয় ততক্ষণ পর্যন্ত এসব এলাকায় না ফেরার বিষয়ে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
এদিকে, যুদ্ধবিরতি চুক্তির মধ্যেই গাজায় চালিয়ে যাচ্ছে দখলদার ইসরায়েলি বিমান বাহিনী। গাজা সিভিল ডিফেন্সের কর্মকর্তা মোহাম্মদ আল-মুগাইর বলেছেন, যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর ঘোষণার পরও ইসরায়েলি বাহিনী গাজা সিটিসহ একাধিক স্থানে হামলা চালিয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান গাজা শহরের পশ্চিমাঞ্চলে বোমা বর্ষণ করেছে এবং শাতি শরণার্থী শিবিরে অন্তত একটি বাড়ি লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। এছাড়া, গাজা শহরের দক্ষিণে সাবরা এলাকায় বসতবাড়ির কাছে বিস্ফোরকবোঝাই একটি সাঁজোয়া যান ধ্বংস করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। তবে, এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
