শেখ হাসিনাসহ দণ্ডপ্রাপ্তদের ফেরত চাইবে ঢাকা: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
প্রকাশ : ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ১৯:১২ | অনলাইন সংস্করণ

দিল্লিতে অবস্থান করা ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারত সরকারের কাছে ফেরত চাওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। সোমবার জুলাই অভ্যুত্থানের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণার পর প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ কথা বলেন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘স্থানীয়ভাবে ভারতীয় হাইকমিশন এবং দিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনের মাধ্যমে শেখ হাসিনাসহ দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ফেরত চাইবে ঢাকা। তাদের ফেরত চেয়ে যে কোনো মুহূর্তে দিল্লিকে চিঠি পাঠানো হবে। চিঠির পর ভারতের প্রতিক্রিয়া দেখে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে বাংলাদেশ।’
তৌহিদ হোসেন আরও বলেন, ‘ভারত সফরকালে নিরাপত্তা উপদেষ্টা চাইলে এ নিয়ে আলোচনা করতে পারেন। সেটা তার ওপর নির্ভর করে।’
সোমবার মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। তিনটি অপরাধের পৃথক অভিযোগে তাকে এই দণ্ড দেওয়া হয়। এ ছাড়া আরও দুটি অভিযোগে তার আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ মামলার অন্য দুই আসামির মধ্যে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকেও মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। মামলার রাষ্ট্রসাক্ষী পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে দেওয়া হয়েছে পাঁচ বছরের সাজা।
রায়ের পরপর দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল জানিয়েছিলেন, শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়ে দিল্লিকে চিঠি দেবে ঢাকা।
এদিকে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানকে হস্তান্তর করতে ভারত সরকারকে বার্তা দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সোমবার মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আজকের রায়ে পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামাল জুলাই হত্যাকাণ্ডের জন্য অপরাধী সাব্যস্ত হয়েছেন এবং দণ্ডপ্রাপ্ত হয়েছেন। মানবতাবিরোধী অপরাধে দণ্ডপ্রাপ্ত এই ব্যক্তিদের অন্য কোনো দেশ আশ্রয় দিলে তা হবে অত্যন্ত অবন্ধুসুলভ আচরণ এবং ন্যায়বিচারের প্রতি অবজ্ঞার সামিল।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, আমরা ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই—তারা যেন অনতিবিলম্বে দণ্ডপ্রাপ্ত এই দুই ব্যক্তিকে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করেন। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান প্রত্যার্পণ চুক্তি অনুসারে এটি ভারতের জন্য অবশ্য পালনীয় দায়িত্বও বটে।
