বিজয় দিবস নিয়ে বিবৃতিতে যা বললো ভারতীয় সেনাবাহিনী
প্রকাশ : ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩:২৫ | অনলাইন সংস্করণ

বাঙালি জাতির জন্য গৌরবের দিন মহান বিজয় দিবস আজ ১৬ ডিসেম্বর। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাক হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের অবসান ঘটে। মুক্তিযুদ্ধের শেষ পর্যায়ে ভারতীয় সেনাবাহিনী যুক্ত হওয়ায় ভারতও এ দিনটিকে নিজেদের বিজয় দিবস হিসেবে পালন করে থাকে।
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর আত্মসমর্পণের দলিলে সই করেন পাকিস্তানি বাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের অধিনায়ক লে. জেনারেল এ এ কে নিয়াজি। তার পাশে ছিলেন মিত্রবাহিনীর লে. জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরা।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) বিজয় দিবস উপলক্ষে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে একটি বিবৃতি দিয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিজয় দিবস কেবল একটি তারিখ নয়; এটি ১৯৭১ সালের যুদ্ধে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর ঐতিহাসিক ও চূড়ান্ত বিজয়ের প্রতীক।
বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, এটি এমন এক বিজয় যেখানে মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করেছে, যা একসঙ্গে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামকে এগিয়ে নিয়ে গেছে চূড়ান্ত স্বাধীনতার দিকে। এতে বলা হয়, এই বিজয় ভারতের সামরিক ইতিহাসকে নতুন রূপ দিয়েছে, দক্ষিণ এশিয়ার মানচিত্রকে নতুন করে সাজিয়েছে এবং একটি নতুন জাতির জন্ম দিয়েছে—বাংলাদেশ।
এক্সে দেওয়া ওই পোস্টে আরও বলা হয়, মুক্তিযুদ্ধ পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সমগ্র সম্প্রদায়ের ওপর চালানো নৃশংস অত্যাচার, নিপীড়ন ও নিষ্ঠুরতার অবসান ঘটায়।
একই সঙ্গে মাত্র ১৩ দিনে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী অসাধারণ সাহস, অটল সংকল্প ও ব্যতিক্রমী সামরিক দক্ষতার পরিচয় দেয়, যার পরিণতিতে ৯৩ হাজার পাকিস্তানি সেনা আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়—যা বিশ্ব ইতিহাসের বৃহত্তম সামরিক আত্মসমর্পণগুলোর একটি।
বিবৃতির শেষাংশে বলা হয়, ১৬ ডিসেম্বর ভারতের বন্ধুদের প্রতি আনুগত্যের প্রমাণ এবং প্রতিপক্ষদের জন্য একটি স্পষ্ট বার্তা—ভারত যখন ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়ায়, বিজয় তখন অনিবার্য।
এদিকে বিজয় দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার সকালে সামাজিক মাধ্যমে একটি পোস্ট দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ওই পোস্টে তিনি মুক্তিযুদ্ধকে ভারতের যুদ্ধ বলে দাবি করেন। এমনকি পোস্টের কোথাও বাংলাদেশের নাম উল্লেখ না করে একে ‘ভারতের ঐতিহাসিক বিজয়’ বলে উল্লেখ করেন তিনি।
