চাঁদাবাজি হারাম

প্রকাশ : ০১ আগস্ট ২০২৫, ১৪:৪০ | অনলাইন সংস্করণ

  আহমদ আবদুল্লাহ

চাঁদাবাজি এক ধরনের ডাকাতি। মানুষের ওপর এক ধরনের জরিমানা নির্ধারণ করা। চাঁদা আদায়কারী, লেখক ও গ্রহণকারী গোনাহে শামিল। এরা সবাই হারাম ভক্ষণকারী। চাঁদাবাজ কেবল অবিচারকারীর বড় সহযোগী নয়, সে জুলুমকারী।

আল্লাহ বলেন, ‘তাদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে, যারা মানুষের ওপর অত্যাচার চালায় এবং পৃথিবীতে অন্যায়ভাবে বিদ্রোহ করে বেড়ায়। তাদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।’ (সুরা শুরা : ৪২)।

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তোমরা কি জান- আমার উম্মতের মধ্যে প্রকৃত গরিব কে? আসল গরিব ওই ব্যক্তি, যে কেয়ামতের দিন বহু নামাজ, রোজা ও যাকাত নিয়ে উপস্থিত হবে। তবে সে দুনিয়ায় কাউকে হত্যা করেছে, মিথ্যা অপবাদ দিয়েছে, কাউকে গালমন্দ করেছে, কারো সম্পদ আত্মসাৎ করেছে, কাউকে মেরেছে অথবা কাউকে প্রহার করেছে।

কেয়ামতের দিন এ ব্যক্তির নেক আমল বা সওয়াব তাদের (তার দ্বারা যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে) দেওয়া হবে। যদি তার নেক আমলের সওয়াব পাওনাদারদের পাওনা পরিশোধ করার আগেই শেষ হয়ে যায়, তখন তাদের গোনাহগুলো তার ওপর চাপিয়ে দেওয়া হবে এবং তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।’ (মুসলিম : ৭৬৮৬)।