খাবারে সামান্য পরিবর্তনেই নিয়ন্ত্রণে থাকবে ব্লাড সুগার

প্রকাশ : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪:৪৩ | অনলাইন সংস্করণ

  লাইফস্টাইল ডেস্ক

ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখা বর্তমানে অনেকের জন্যই অত্যন্ত জরুরি বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। পরিবারের কাউকে না কাউকে খাওয়ার আগে বা ঘুমানোর আগে গ্লুকোজ মাপতে দেখা এখন খুবই পরিচিত দৃশ্য। বিশেষজ্ঞদের মতে, কার্বোহাইড্রেট-ভারী খাবার খাওয়ার পর হঠাৎ শক্তি কমে যাওয়া, অস্বাভাবিক ক্ষুধা লাগা কিংবা অকারণে মেজাজ খিটখিটে হয়ে ওঠা—এই সবই রক্তে শর্করার ওঠানামার লক্ষণ হতে পারে। এমনকি যারা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত নন, তাদের ক্ষেত্রেও এই সমস্যা দেখা দিতে পারে।

তবে আশার কথা হলো, প্রতিদিনের খাদ্যাভ্যাসে কিছু সচেতন পরিবর্তন আনলেই রক্তে শর্করার মাত্রা অনেকটাই স্থিতিশীল রাখা সম্ভব। যারা ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান, তাদের জন্য খাবার সংক্রান্ত কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ তুলে ধরা হলো—

প্রোটিন দিয়ে দিন শুরু করুন

সকালের নাস্তায় শুধু কার্বোহাইড্রেট নয়, প্রোটিন রাখাই সবচেয়ে ভালো। টোস্ট, সিরিয়াল বা শুধুই ফল খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বাড়ে ও কমে। প্রোটিন হজম প্রক্রিয়াকে ধীর করে এবং দীর্ঘসময় শক্তি ধরে রাখতে সাহায্য করে। সকালের খাবারে ডিম, দইয়ের সঙ্গে বাদাম বা বীজ, মসুর ডাল, বিনস কিংবা গোটা শস্য যোগ করতে পারেন।

প্রতিটি খাবারে রাখুন ভারসাম্য

শুধু কার্বোহাইড্রেট নির্ভর খাবার রক্তে শর্করার স্পাইক বাড়ায়। তাই প্রতিটি খাবারে কার্বোহাইড্রেটের পাশাপাশি প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর চর্বি ও ফাইবার রাখা জরুরি। এতে গ্লুকোজ ধীরে ধীরে রক্তে প্রবেশ করে এবং শক্তি দীর্ঘস্থায়ী হয়।

খাবার বাদ না দিয়ে নিয়মিত খান

খাবার এড়িয়ে যাওয়ার ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ কমে যেতে পারে, যা পরে অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা বাড়ায়। নির্দিষ্ট সময় অন্তর খাবার খেলে গ্লুকোজের মাত্রা স্থিতিশীল থাকে এবং সারাদিন শক্তি বজায় থাকে।

নাশতায় প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার বেছে নিন

খাবারের ফাঁকে বিস্কুট বা মিষ্টির বদলে প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার খাওয়াই ভালো। বাদাম, বীজ, দই, সেদ্ধ ডিম বা ভাজা ডাল রক্তে শর্করার দ্রুত ওঠানামা ঠেকাতে সাহায্য করে।

ফাইবার গ্রহণ বাড়ান

ফাইবার বা আঁশ রক্তে চিনির শোষণ ধীর করে এবং খাবারের পর হঠাৎ গ্লুকোজ বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি কমায়। শাক-সবজি, খোসাসহ ফল, লেবু ও গোটা শস্য ফাইবারের ভালো উৎস। নিয়মিত এসব খাবার খেলে ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হয়।

সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও সচেতন জীবনযাপনই রক্তে শর্করার ভারসাম্য বজায় রাখার সবচেয়ে কার্যকর উপায় বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।