আন্দোলনের মধ্যেই ‘সরকারি চাকরির অধ্যাদেশ’ জারি

প্রকাশ : ২৬ মে ২০২৫, ০৯:১৪ | অনলাইন সংস্করণ

সচিবালয়ে কর্মচারীদের আন্দোলনের মধ্যেই সরকারি চাকরি আইন সংশোধন করে ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ- ২০২৫’ জারি করেছে সরকার।

রোববার (২৫ মে) সন্ধ্যায় এ অধ্যাদেশ জারি করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

অধ্যাদেশের ফলে, সরকারি কর্মচারীদের চার ধরনের শৃঙ্খলাভঙ্গের অপরাধের জন্য বিভাগীয় মামলা ছাড়াই চারটি অপরাধের জন্য  শুধুমাত্র কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে চাকরি থেকে বরখাস্ত করতে পারবে সরকার।

সরকারি কর্মচারী (বিশেষ বিধান) অধ্যাদেশ ১৯৭৯-এর চারটি ধারা নতুন অধ্যাদেশে যুক্ত করা হয়েছে। এগুলো হলো:

১. এমন কোনো কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হন, যার কারণে অন্য যেকোনো সরকারি কর্মচারীর মধ্যে অনানুগত্য সৃষ্টি করে বা শৃঙ্খলা বিঘ্নিত করে বা কর্তব্য সম্পাদনে বাধার সৃষ্টি করে

 ২. অন্য কর্মচারীদের সঙ্গে সমবেতভাবে বা এককভাবে ছুটি ছাড়া বা কোনো যুক্তিসংগত কারণ ছাড়া, নিজ কর্ম হতে অনুপস্থিত থাকেন বা বিরত থাকেন বা কর্তব্য সম্পাদনে ব্যর্থ হন

 ৩. অন্য যেকোনো কর্মচারীকে তার কর্ম হতে অনুপস্থিত থাকতে বা বিরত থাকতে বা তার কর্তব্য পালন না করার নিমিত্তে উসকানি দেন বা প্ররোচিত করেন

 ৪. যেকোনো সরকারি কর্মচারীকে তার কর্মে উপস্থিত হতে বা কর্তব্য সম্পাদনে বাধাগ্রস্ত করেন, তাহলে তিনি অসদাচরণের দায়ে দণ্ডিত হবেন

বিশেষজ্ঞরা এটিকে ‘জঙ্গি আইন’ আখ্যা দিচ্ছেন। কেউ কেউ বলছেন, এতে অনেক নিরীহ কর্মচারী কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই চাকরিচ্যুত হবেন। দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা সহজে দুর্নীতি করতে পারবে এবং চাকরির ভয় দেখিয়ে হয়রানি ও নিপীড়নের স্টিম রোলার চালাবে। এতে সবচেয়ে বেশি ভুগবে নিরীহ কর্মচারীরা।

 

আবা/এসআর/২৫