১১ মাসেই রপ্তানি আয়ে রেকর্ড
প্রকাশ : ০৩ জুন ২০২৫, ১৮:১৫ | অনলাইন সংস্করণ

চলতি অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসেই বাংলাদেশের রপ্তানি আয় আগের পুরো অর্থবছরের তুলনায় ছাড়িয়ে গেছে। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) মঙ্গলবার (৩ জুন) প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী জানায়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে মে মাস পর্যন্ত রপ্তানি আয় দাঁড়িয়েছে ৪৪ দশমিক ৯৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা ২০২৩-২৪ অর্থবছরের মোট আয়ের (৪৪ দশমিক ৪৬ বিলিয়ন ডলার) তুলনায় বেশি।
ইপিবির পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মে মাসে দেশের রপ্তানি আয়ে উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি দেখা গেছে। ওই মাসে রপ্তানি আয় ১১ দশমিক ৪৫ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৪ দশমিক ৭৩ বিলিয়ন ডলার, যেখানে আগের বছরের মে মাসে আয় ছিল ৪ দশমিক ২৫ বিলিয়ন ডলার। অর্থবছরের প্রথম ১১ মাস মিলিয়ে মোট প্রবৃদ্ধির হার দাঁড়িয়েছে ১০ শতাংশ।
রপ্তানির প্রধান চালিকাশক্তি তৈরি পোশাক খাত থেকে এই সময়ে ৩৬ দশমিক ৫৫ বিলিয়ন ডলার আয় হয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ১০ দশমিক ২৫ শতাংশ বেশি। এর মধ্যে ওভেন পোশাক থেকে ১৬ দশমিক ৯৪ বিলিয়ন এবং নিটওয়্যার পণ্য থেকে ১৯ দশমিক ৬২ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি হয়েছে, যথাক্রমে ৯ দশমিক ৩০ শতাংশ ও ১০ দশমিক ৯৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নিয়ে।
কৃষিপণ্যের রপ্তানি আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯২৮ মিলিয়ন ডলার, যা গত বছরের তুলনায় ৩ দশমিক ১৭ শতাংশ বেশি। হিমায়িত ও জীবন্ত মাছ রপ্তানি খাতে ১৭ দশমিক ৫৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি এসেছে, যার মোট আয় ৪১০ মিলিয়ন ডলার। চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের রপ্তানি আয় ১২ দশমিক ৫৫ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ বিলিয়ন ডলার, এবং প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানিতে আয় ১৮ দশমিক ৬২ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ২৭০ মিলিয়ন ডলার।
চামড়ার তৈরি জুতা রপ্তানিতে ২৮ দশমিক ৯৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে, যার আয় দাঁড়িয়েছে ৬২০ মিলিয়ন ডলার। তবে চামড়াজাত অন্যান্য পণ্যের রপ্তানি ৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৩১৭ মিলিয়ন ডলারে।
এছাড়া পাট ও পাটজাত পণ্যের রপ্তানি আয় ৪ দশমিক ৭৭ শতাংশ হ্রাস পেয়ে হয়েছে ৭৬৯ মিলিয়ন ডলার। হোম টেক্সটাইল খাতে আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮২৫ মিলিয়ন ডলার, যা ৪ দশমিক ৭৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নির্দেশ করে।
নন-লেদার ফুটওয়্যার খাত থেকে ৪৯৪ মিলিয়ন ডলার আয় হয়েছে, যা ৩০ দশমিক ২৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি। ওষুধ শিল্প তথা ফার্মাসিউটিক্যালস খাতেও ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি দেখা গেছে— ৫ দশমিক ২৫ শতাংশ বেড়ে আয় দাঁড়িয়েছে ১৯৭ মিলিয়ন ডলার।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, রপ্তানির এই ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধি দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধির পাশাপাশি অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতাও জোরদার করবে।