আজই আলোচনা শেষ করতে চায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন

প্রকাশ : ৩১ জুলাই ২০২৫, ১৪:২৯ | অনলাইন সংস্করণ

জুলাই সনদ প্রণয়নের লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আজই রাষ্ট্রসংস্কারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে আলোচনা শেষ করতে চায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) সকাল সাড়ে ১১টা থেকে শুরু হওয়া জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় পর্যায়ের ২৩তম দিনের আলোচনার শুরুতে সূচনা বক্তব্যে একথা জানান কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।

তিনি বলেন, আজকের মধ্যেই অমীমাংসিত বিষয়গুলো নিষ্পত্তির মাধ্যমে দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা শেষ করা হবে। এরপর রাষ্ট্র সংস্কারের সনদের চূড়ান্ত খসড়া দলগুলোকে পাঠানো হবে। তাদের মতামতের ভিত্তিতেই চূড়ান্ত হবে বহুল আকাঙ্ক্ষিত জুলাই সনদ।

অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, রাষ্ট্র সংস্কার নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় ৬টি কমিশনের সুপারিশগুলোর সারাংশগুলোর মধ্যে প্রাথমিক পর্যায়ে আলোচনায় ঐকমত্য হয়েছে। ১৩টি বিষয়ে নোট অব ডিসেন্টসহ ঐকমত্য হয়েছে এবং বাকি অমীমাংসিত আলোচনাগুলো নিষ্পত্তির মাধ্যমে দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা শেষ হবে আজ।

রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিদের কাছে ইতোমধ্যেই জুলাই সনদের পটভূমি খসড়া দেয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, সেগুলোর ওপর দলগুলোর দেয়া সংশোধনী প্রস্তাব নিয়ে কাজ করছে কমিশন।

ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি জানান, দলগুলোর পারস্পারিক আলোচনার মধ্যদিয়ে অমীমাংসিত বিষয়গুলোর সমাধান হতে পারে বলেও আশা করা যাচ্ছে। এরপর চূড়ান্ত খসড়া তৈরি করে রাজনৈতিক দলগুলোর স্বাক্ষর নেওয়ার জন্য তাদের কাছে পাঠানো হবে। সেখানে দলগুলো স্বাক্ষর করবে।

আজকের আলোচ্য বিষয়ের মধ্যে রয়েছে— উচ্চকক্ষ গঠন ও নির্বাচন পদ্ধতি, রাষ্ট্রের মূলনীতি, সরকারি কর্ম কমিশন, দুদক, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক এবং ন্যায়পাল নিয়োগের বিধান ও নাগরিকদের মৌলিক অধিকার সম্প্রসারণ।

আলোচনায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), গণঅধিকার পরিষদ, গণসংহতি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি ও আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি-সহ ৩০টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করছেন বলে জানা গেছে।

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় আজকের এই আলোচনায় কমিশনের সদস্য হিসেবে উপস্থিত রয়েছেন বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন ও ড. মো. আইয়ুব মিয়া।