রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ছাড়া বিনিয়োগ প্রত্যাশা বাস্তবসম্মত নয়: গভর্নর

প্রকাশ : ১০ আগস্ট ২০২৫, ১৬:০৬ | অনলাইন সংস্করণ

দেশে বিনিয়োগ আকর্ষণে রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা খাতে স্থিতিশীলতা নিশ্চিতের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।

তিনি বলেছেন, আমাদের স্থিতিশীলতা আনতে হবে। আর্থিকখাতে কেবল স্থিতিশীলতা এসেছে। রাজনৈতিকখাতে তো আসেনি। সিকিউরিটি সিচ্যুয়েশন তো এখনও আনস্টেবল। সবকিছু মিলিয়ে এখনই কেউ বিনিয়োগে ঝাঁপিয়ে পড়বে এই প্রত্যাশা যদি কারো থাকে, আমি বলবো সেটা কাল্পনিক। আমাকে বাস্তবসম্মত হতে হবে।

রোববার (১০ আগস্ট) সকালে রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ৩৬৫ দিন’ শীর্ষক সংলাপে গভর্নর এ কথা বলেন। সংলাপের আয়োজন করে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। 

বিনিয়োগ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেন, আমরা পাইপলাইনে বিনিয়োগ দেখতে পারছি। দেয়ার আর পজিটিভ সাইনস অব দ্যাট । কিন্তু আরেকটু সময় লাগবে। সামনে নির্বাচন, এই মুহূর্তে হয়তো বড় কোনো বিনিয়োগকারী আসতে চাইবে না। বিদেশি বিনিয়োগকারীরাও আসতে চাইবে না; পরবর্তী সরকার যদি সব চেঞ্জ করে ফেলে। লেটস টক টু দ্য নেক্সট গভর্মেন্ট, এটা খুব স্বাভাবিক পলেটিক্যাল প্রসেস। 

ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘৫ বিলিয়ন ডলার করে পণ্য আমদানি করছি। তাতে কী আমদানি কম হচ্ছে। বাজারে কী কোনো শর্টেজ আছে। কোনো পণ্যের অভাব আছে। হয়তো বলতে পারেন ক্যাপিটাল মেশিনারি ইমপোর্ট করছি না। লেজিটিমেট কোয়েশ্চেন? দ্য আনসার ইজ হু ইজ গোয়িং টু ইনভেস্ট ইন দিস এনভারনমেন্ট (এখন এখানে কে বিনিয়োগ করবে?)। আমরা খাদের কিনারায় ছিলাম সেখান থেকে যদি দ্রুত ফেরত আসতে না পারি তা হলে খাদে পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনাটা অনেক বেশি। 

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আরও বলেন, আমাদের দুটি চ্যালেঞ্জ ছিল। একটি হলে সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা, আর রিফর্ম এজেন্ডাকে এগিয়ে নেওয়া। যাতে ভবিষ্যতে যে সরকারই আসুক তারা যেনো এটাকে সামনের দিকে নিয়ে যেতে পারে। আরও সুদৃঢ়ভাবে আর্থিকখাতকে প্রতিষ্ঠা করতে পারে। এটা চলমান প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়ার শুরুটা আমরা করে দিতে পারি সেটাই আমাদের প্রত্যাশা।