দেশীয় চাহিদা মিটিয়ে রপ্তানি হবে ইলিশ: মৎস্য উপদেষ্টা
প্রকাশ : ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২০:৩২ | অনলাইন সংস্করণ
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, দেশের অন্যতম সম্পদ ইলিশ মাছ সর্বপ্রথম দেশের চাহিদা পূরণ করে তারপর রপ্তানি করা হবে। গত বছর প্রতিবেশী দেশ ভারতে ৫০০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানি করা হয়েছিল। এ বছর দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারত ১ হাজার ২০০ মেট্রিক টন ইলিশ পাঠানোর অনুরোধ জানিয়েছে।
শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার বুড়ির বাঁধ মৎস্য চত্বরে জেলা প্রশাসন ও মৎস্য অধিদপ্তরের আয়োজনে মৎস্য অবমুক্তকরণ শেষে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, দেশের জলজ সম্পদ রক্ষায় অবৈধ জাল উৎপাদন ও ব্যবসার সঙ্গে জড়িতদের কোনোভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না। যারা এই কাজ করে তারা দেশের শত্রু। অবৈধ জাল ব্যবহারকারীরাও সমান অপরাধী, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণে সবাইকে সচেতন হতে হবে। দেশের অর্থনীতিতে মৎস্যখাতের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। তাই এ খাতকে টিকিয়ে রাখতে হলে অবৈধ কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে। জলাশয় রক্ষণাবেক্ষণ ও জেলেদের প্রণোদনা বাড়ানোর বিষয়েও তিনি সরকারের উদ্যোগের কথা জানান।
উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে ইলিশ মাছ সরবরাহ নিশ্চিত করার আশ্বাস দিয়ে ফরিদা আখতার বলেন, “সকলেই সচেতন থেকে বৈধভাবে মাছ ধরলে আমরা সারা বছর দেশীয় মাছ খেতে পারবো। যেহেতু এসব মাছ পুষ্টি জোগায়, তাই প্রজনন ও সম্পদ সংরক্ষণ জরুরি।”
এ সময় তিনি স্থানীয় প্রশাসন, মৎস্যজীবী ও গণমাধ্যমকর্মীদের সমন্বয়ে নদী-নালা ও জলাশয়ে অবৈধ জাল ব্যবহার নির্মূল করার আহ্বান জানান।
জেলা প্রশাসক ইশরাত ফারজানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের, মৎস্য অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক আবদুর রউফ, পুলিশ সুপার শেখ জাহিদুল ইসলামসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
