ফসলি জমিতে কোন স্থাপনা নির্মাণ করা যাবে না: কৃষি উপদেষ্টা

প্রকাশ : ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৭:৪২ | অনলাইন সংস্করণ

কৃষি জমি সংরক্ষণে কঠোর বিধান রেখে ‘ভূমি ব্যবহার ও কৃষি ভূমি সুরক্ষা অধ্যাদেশ’ প্রণয়নের কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন কৃষি ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বলেছেন, কোনো অবস্থাতেই ফসলি জমি নষ্ট করা যাবে না। দুই ফসলি ও তিন ফসলি জমিতে কোনো স্থাপনা নির্মাণ করা যাবে না।

বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। কৃষি মন্ত্রণালয়ের গত এক বছরের সাফল্য, অর্জন ও সার্বিক অগ্রগতি সম্পর্কে জানাতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। 

কৃষি উপদেষ্টা বলেন, গত এক বছরে ৮৮ লাখ ৫৫ হাজার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মধ্যে বিনামূল্যে সার, বীজ, চারা এবং অন্যান্য সহায়তা বাবদ ৮৯৩ কোটি ২০ লাখ টাকা প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে।

তিনি জানান, ২০২৪–২০২৫ অর্থবছরে দেশে আমন মৌসুমে ১৬৫.১৪৫ লাখ মেট্রিক টন, আউশে ২৭.৯৩৪ লাখ মেট্রিক টন এবং বোরো মৌসুমে ২২৬.৮২ লাখ মেট্রিক টন চাল উৎপাদিত হয়েছে। ফলে মোট চাল উৎপাদনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪১৯.১৬১ লাখ মেট্রিক টনে। একই সময়ে আলু উৎপাদন হয়েছে ১১৫.৭৩৬ লাখ মেট্রিক টন, গম ১০.৪১১ লাখ মেট্রিক টন, ভুট্টা ৭৩.৯৯৪ লাখ মেট্রিক টন, পেঁয়াজ ৪৪.৪৮৭ লাখ মেট্রিক টন, রসুন ৭.৮৮৭ লাখ মেট্রিক টন, আদা ২.৫১৪ লাখ মেট্রিক টন এবং কাঁচা মরিচ উৎপাদিত হয়েছে ১৬.৪২৮ লাখ মেট্রিক টন।

জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী  বলেন, সারের বকেয়া ২০ হাজার ৬৯১ কোটি টাকাসহ মোট ৭ হাজার ৬৮৪.৯৭ কোটি টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। রাশিয়া থেকে বিনামূল্যে ৩০ হাজার মেট্রিক টন সার প্রাপ্তির কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। সার আমদানির সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়ায় সরকারের ২৩৩.৬১ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে। ‘সার ডিলার নিয়োগ ও সার বিতরণ সংক্রান্ত সমন্বিত নীতিমালাু২০০৯’ হালনাগাদ চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।

পাটকলের অব্যবহৃত গুদামকে সার মজুতের জন্য ব্যবহার করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলেও উপদেষ্টা জানান।