বিএনপি-জামায়াত ভাগ-ভাটোয়ারা করে প্রশাসন দখল করেছে

পাঁচ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর বিএনপি ও জামায়াত ভাগ-ভাটোয়ারা করে প্রশাসন দখল করেছে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।

গণমাধ্যমের বড় অংশ এখনো ব্যবসায়ী ও গোষ্ঠীগত স্বার্থ রক্ষায় কাজ করছে বলেও মনে করেন তিনি। মাহফুজ আলম বলেন, গণমাধ্যমকে সব গোষ্ঠী স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে জাতীয় স্বার্থকে প্রাধান্য দিতে হবে। তবে এ সবই নির্ভর করছে রাজনৈতিক দলগুলোর স্বদিচ্ছা ও ঐকমত্যের ওপর। রাজনৈতিক সংস্কৃতি না বদলালে গণমাধ্যমের কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন সম্ভব নয়।

রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘গণমাধ্যমের স্বনিয়ন্ত্রণ ও অভিযোগ ব্যবস্থাপনা’ নিয়ে গোলটেবিলে বৈঠকে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় বাধা না দিয়ে বরং গণতান্ত্রিক চর্চাকে উৎসাহিত করতে হবে। সিভিল-মিলিটারি আমলাতন্ত্রকে ফ্যাসিস্ট প্রভাবমুক্ত না করলে গণমাধ্যমকেও ফ্যাসিস্টমুক্ত করা যাবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

তথ্য উপদেষ্টা জানান, সাংবাদিকতা সুরক্ষা আইনের খসড়া থেকে শুরু করে বিল আকারে পাস হওয়া পর্যন্ত ১৮টি ধাপ রয়েছে। তিনি আরও দুই মাস আগে প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশনা দিলেও সেটি এখনো দ্বিতীয় ধাপে রয়েছে।

বিগত দুই মাস ধরে উপদেষ্টা পদ নিয়ে অনিশ্চয়তায় রয়েছেন বলেও উল্লেখ করেন মাহফুজ আলম। তিনি বলেন, ‘গত দুই মাস ধরে আমি অনিশ্চয়তার মধ্যে আছি যে আমি কখন নেমে যাই। মানে আমি কখন নামব আমি জানি না।’

বৈঠকে অন্যান্য বক্তারা উল্লেখ করেন, বিগত সরকারের আমলে গণমাধ্যমে যে অনিয়ম ছিলো, তা থেকে মুক্তি পাওয়ার সুযোগ থাকা সত্ত্বেও অন্তর্বর্তী সরকার তা বাস্তবায়ন করেনি। এছাড়া কিছু গণমাধ্যমের চরিত্রও সরকার পরিবর্তনের সঙ্গে পরিবর্তিত হয়ে থাকে, এমন মন্তব্যও করেন তারা।

সংবাদ প্রকাশে বিভিন্ন সংবাদ এজেন্সির নিয়ন্ত্রণের অভিযোগও করেন আলোচকরা। তারা মনে করেন, আইনের শাসন যদি যথাযথভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়, তাহলে হলুদ সাংবাদিকতা কমে আসবে।