আসন্ন নির্বাচনে ফ্যাসিস্ট শক্তি মোকাবিলা বড় চ্যালেঞ্জ: আইজিপি

প্রকাশ : ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৫:২৫ | অনলাইন সংস্করণ

পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম বলেছেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পরাজিত, পলাতক ও পতিত ফ্যাসিস্ট শক্তি মোকাবিলা আমাদের জন্য একটা চ্যালেঞ্জ। তাদের নেতাকর্মী ও সাপোর্টাররাও বড় চ্যালেঞ্জ।

মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) পুলিশ সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

নির্বাচনকে সামনে রেখে চ্যালেঞ্জের কথা বলছেন। কিন্তু নির্দিষ্ট করে বলবেন নির্বাচনের ক্ষেত্রে কোন পক্ষকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা হচ্ছে। এমন প্রশ্নের জবাবে পুলিশ মহাপরিদর্শক বলেন, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পুলিশ থানা ছেড়ে চলে গিয়েছিল। সেখান থেকে এক বছরে বর্তমান অবস্থায় নিয়ে আসা একটা চ্যালেঞ্জ। কিন্তু আমরা চাচ্ছি নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের সক্ষমতা অর্জন করতে। আমাদের বিশ্বাস পারবো। আমি কোনো শক্তির কথা নির্দিষ্ট করে বলতে পারবো না। যারা পরাজিত ফ্যাসিস্ট তারাও আমাদের জন্য একটা চ্যালেঞ্জ। তাদের নেতাকর্মী ও সাপোর্টাররাও আমাদের জন্য বড় একটা চ্যালেঞ্জ।

নির্বাচনে পুলিশের সক্ষমতার কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু শুধু মোহাম্মদপুরেই যে পরিমাণ শীর্ষ সন্ত্রাসী-কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। সেখানে পুলিশ আইনশৃঙ্খলা উন্নতি করতে পারেনি। এতো বড় নির্বাচন আয়োজনের সক্ষমতা আছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে বাহারুল আলম বলেন, সক্ষমতা অবশ্যই আছে। এটা নিয়ে আমার কোনো সন্দেহ নেই, আপনাদেরও থাকা উচিত না। 

তিনি আরও বলেন, মোহাম্মদপুর এলাকায় আমাদের বিশেষ ব্যবস্থা নিতে হয়েছে। সেখানে সামরিক বাহিনী বেসামরিক প্রশাসনকে সহযোগিতা করতে সেনাবাহিনী আছে। আমরা তাদের সহযোগিতা নিয়ে মোহাম্মদপুর-আদাবরে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে কাজ করছি। তারা কীভাবে যেন গ্রেপ্তারের পর জামিন হয়ে যায়। জামিনে এসে বিপুল উৎসাহে আবারও অপরাধ করছে। অল্প বয়সী অপরাধীদের বিপুলসংখ্যক গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমরা তাদের আটকাতে নানাভাবে চেষ্টা করছি। কিছু কিছু ক্ষেত্রে চিন্তা করছি নিবর্তনমূলক আটক আদেশ দিতে হতে পারে।

পুলিশের লুট হওয়া অস্ত্রগুলো কার হাতে আছে এবং অস্ত্রগুলো উদ্ধার না হলে ঝুঁকি আছে কি না জানতে চাইলে পুলিশ প্রধান বলেন, এখন পর্যন্ত অস্ত্র উদ্ধার হয়নি ১ হাজার ৩৫০টি। নিয়মিত অস্ত্র উদ্ধার কার্যক্রম চলছে। আমরা যদি জানতাম অস্ত্র কার হাতে তাহলে কথাই ছিল না। কিন্তু সবাইকে সন্দেহের তালিকায় রাখছি। ধারণা করছি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হাতে যেতে পারে, কিছু পাহাড়ি কিংবা আরসার হাতে যেতে পারে; এগুলো সব আমাদের সন্দেহ।

থানা থেকে ব্যক্তিগত অস্ত্র লুটের সংখ্যার বিষয় তিনি বলেন, অল্প কিছু অস্ত্র থানা থেকে লুট হয়েছে। পুলিশের অস্ত্রের সংখ্যা বেশি। বৈধ অস্ত্র সরকার জমা নিয়েছে। ২০০৯ সাল ২০২৪ সাল পর্যন্ত সব অস্ত্র আমরা জমা নিয়েছি। কিন্তু যারা জমা দেননি তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আমরা চেষ্টা করেছি অস্ত্রগুলো উদ্ধার করতে।

নির্বাচনে পুলিশের প্রশিক্ষণের বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সমন্বয় করা হচ্ছে কি না? জানতে চাইলে পুলিশ মহাপরিদর্শক বলেন, গত নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ প্রশাসনের ১৬ লাখ জনবল নিয়োগ করা হয়েছে। যেখানে পুলিশের পরিমাণ ৯ শতাংশ। এবারও কাছাকাছি সংখ্যক কর্মকর্তা কাজ করছি। 

তিনি আরও বলেন, আমরা যে নির্বাচনে প্রশিক্ষণের মডিউল তৈরি করেছি সেটা নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের নিয়েই করেছি। সব বিধিমালা নিয়ে তাদের সহযোগিতায় প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। নির্বাচন কমিশন ও পুলিশের নিজস্ব বিধিমালা নিয়েই প্রস্তুতি করা হচ্ছে।