‘আমরা অবরোধভঙ্গ করব। ফিলিস্তিন মুক্ত হবে’

ইসরায়েলি হামলা, ঝড় পেরিয়ে গাজার পথে শহিদুল আলম

প্রকাশ : ০২ অক্টোবর ২০২৫, ১৪:২৩ | অনলাইন সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

দখলদার ইসরায়েলের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে গাজাগামী মানবিক সহায়তা বহর ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’-তে অংশ নিয়েছেন প্রখ্যাত বাংলাদেশি আলোকচিত্রশিল্পী ও মানবাধিকারকর্মী শহিদুল আলম।

বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) দুপুর ১টার দিকে নিজের বর্তমান অবস্থান ও অবরোধ ভাঙার প্রত্যয় জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন তিনি।

ওই পোস্টে শহিদুল আলম লিখেছেন, ‘‘আমি শাহিদুল আলম, ‘কনশিয়েন্স ফ্লোটিলা’-এর উপরের ডেকে আছি — এটি এই তরঙ্গে সবচেয়ে বড় ফ্লোটিলা এবং সর্বশেষ যাওয়া নৌবহর। গ্রিক কর্তৃপক্ষ থেকে ঝড় সতর্কবার্তা আসছে। আমরা গত রাতেই একটি ঝড়ে পড়েছি। ক্যাপ্টেন গতি বাড়িয়েছিলেন যাতে আমরা ঝড়ের সামনে থেকে এগিয়ে থাকতে পারি। ঝড় ও বজ্রবিদ্যুৎ চলে গেছে। বৃষ্টিও এখন থেমে গেছে। আমরা ফ্লোটিলার বাকি অংশের তুলনায় অনেকটা পিছিয়ে আছি। সামনে থাকা নৌযানগুলো ইতিমধ্যেই আক্রমণের শিকার হয়েছে। এসব ভীতি সত্ত্বেও আমরা গাজার উদ্দেশ্যে আমাদের পথ অব্যাহত রেখেছি। আমরা অবরোধভঙ্গ করব। ফিলিস্তিন মুক্ত হবে।’’

এর আগে, সকাল ১০টার দিকে মোসাব আবু তোহা’র একটি এক্স পোস্ট শেয়ার করেন শহিদুল আলম। 

ওই পোস্টে তোহা লিখেছেন, নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ফ্লোটিলায় করে সাহায্য পৌঁছে দিতে চেয়েছেন মানবতাবাদী সাহায্যকর্মীরা। এ কাজে তাদের নিজেদের সরকার ব্যর্থ হয়েছে। কিন্তু সেই সাহসী মানবতাবাদীরা সমুদ্রে অবৈধভাবে আটক হওয়ার পরও অন্তত সেই একই সরকারগুলোর কাছে ফিরে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ পান।

তিনি আরও লিখেছেন, এটা উপেক্ষা করা যায় না। কিন্তু আমরা, গাজায় বসবাসরত ফিলিস্তিনিরা, কোনো সুরক্ষা পাই না। যখন আমরা হারিয়ে যাই-হোক তা হাসপাতালের শয্যা থেকে তুলে নেয়া, আমাদের ঘরের ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়া, কিংবা অস্থায়ী তাঁবুতে জীবন্ত পুড়ে যাওয়া-আমরা যেন কোনো চিহ্ন ছাড়াই মিলিয়ে যাই।

তোহা লিখেছেন, আমার হৃদয় ভেঙে যায় আমার জাতির জন্য: যারা হারিয়ে যায় নাম ছাড়াই, ছবি ছাড়াই, কবর ছাড়াই, আর গণমাধ্যমের চোখের আড়ালে। একবার তারা চলে গেলে, তারা আর নেই।