অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব জোরদারে ঢাকায় যুক্তরাজ্যের বাণিজ্য দূত

প্রকাশ : ০৫ অক্টোবর ২০২৫, ১৭:০৬ | অনলাইন সংস্করণ

পাঁচ দিনের সফরে ঢাকায় পৌঁছেছেন যুক্তরাজ্যের বাণিজ্য দূত ব্যারোনেস রোজি উইন্টারটন। বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক আরও গভীর করাই তার এ সফরের মূল উদ্দেশ্য বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ হাইকমিশন।

সফরকালে ব্যারোনেস উইন্টারটন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন, শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আবরার এবং আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকীর সঙ্গে বৈঠক করবেন।

এসব বৈঠকে দুই দেশের অর্থনৈতিক সংস্কার, বিনিয়োগ সহযোগিতা ও পারস্পরিক অংশীদারত্বের নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে।

এ সফরে বাংলাদেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন ব্যারোনেস উইন্টারটন। তাদের মধ্যে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও ন্যাশনাল সিটিজেন পার্টি (এনসিপি)-এর প্রতিনিধিরা রয়েছেন। এসব বৈঠকে যুক্তরাজ্যের দীর্ঘমেয়াদি প্রবৃদ্ধির অংশীদার হিসেবে প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করা হবে।

ঢাকা ছাড়াও তিনি চট্টগ্রামে অবস্থান করবেন এবং যুক্তরাজ্য-সমর্থিত বিনিয়োগ প্রকল্পগুলো সরেজমিনে পরিদর্শন করবেন। এসব প্রকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টি, সরবরাহ শৃঙ্খল শক্তিশালীকরণ এবং উভয় দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখছে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ হাইকমিশন।

এছাড়া সফরকালে বিমান চলাচল, উচ্চশিক্ষা, নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও প্রতিরক্ষা খাতের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদারদের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি।

তার সফরে যুক্তরাজ্যের ডেভেলপিং কান্ট্রিজ ট্রেডিং স্কিম (ডিসিটিএস)-এর গুরুত্বও তুলে ধরা হবে। এ কর্মসূচির আওতায় ২০২৯ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের পণ্য যুক্তরাজ্যের বাজারে সম্পূর্ণ শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার পাবে, যা এলডিসি থেকে উত্তরণের পর রপ্তানি প্রতিযোগিতা ধরে রাখতে সহায়তা করবে।

ব্যারোনেস উইন্টারটন বলেন, “বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে একটি গতিশীল ও ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব বিদ্যমান। বাংলাদেশের অসাধারণ উন্নয়ন যাত্রাকে সহায়তা করা এবং দুই দেশের জন্য উপকারী নতুন বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সুযোগ অন্বেষণের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করতেই আমি এখানে এসেছি।”

তিনি আরও বলেন, “আমি যুক্তরাজ্য-সমর্থিত বিনিয়োগগুলো সরাসরি দেখতে আগ্রহী, যেগুলো কর্মসংস্থান সৃষ্টি করছে, সরবরাহ শৃঙ্খলকে মজবুত করছে এবং উভয় দেশের অর্থনীতিতে বাস্তব মূল্য যোগ করছে।”

ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক বলেন, “বাংলাদেশে যুক্তরাজ্যের বাণিজ্য দূতের ছয় মাসের মধ্যে এটি দ্বিতীয় সফর, যা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সংস্কার ও দীর্ঘমেয়াদি প্রবৃদ্ধির প্রতি যুক্তরাজ্যের দৃঢ় অঙ্গীকারের প্রতিফলন। যুক্তরাজ্য-বাংলাদেশ বাণিজ্য অংশীদারত্ব দিন দিন আরও শক্তিশালী হচ্ছে এবং আমরা পারস্পরিক সমৃদ্ধির জন্য এই সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করতে আগ্রহী।”