২ লাখ ৩০ হাজার মেট্রিক টন সার আমদানি করবে সরকার

দেশের ক্রমবর্ধমান সারের চাহিদা পূরণে প্রায় ২ লাখ ৩০ হাজার মেট্রিক টন সার আমদানির জন্য ছয়টি পৃথক প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকার।

মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) চলতি বছরের ৪০তম সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভায় এই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ সভায় সভাপতিত্ব করেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।

শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের আলোকে, সরকার সৌদি আরবের এসএবিআইসি এগ্রি-নিউট্রিএন্টস কোম্পানি থেকে তৃতীয় লটের আওতায় ৩০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক গ্রানুলার ইউরিয়া সার আমদানি করতে যাচ্ছে।

প্রতি মেট্রিক টনের মূল্য ধরা হয়েছে ৪৩৫ মার্কিন ডলার, যার ভিত্তিতে মোট আমদানি ব্যয় হবে ১৫৯ কোটি ৯৯ লাখ টাকা।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের ভিত্তিতে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের চুক্তির আওতায় চীনের ব্যানিয়ান ইন্টারন্যাশনাল ট্রেডিং লিমিটেড থেকে তিনটি পৃথক লটে ডিএপি সার আমদানি করবে।

প্রতিটি লটে থাকবে ৪০ হাজার মেট্রিক টন করে সার, আর প্রতি মেট্রিক টনের মূল্য ধরা হয়েছে ৭৬৮.৭৫ মার্কিন ডলার। এই হিসাবে, প্রত্যেক লটের আমদানি ব্যয় হবে ৩৭৬ কোটি ৩৮ লাখ টাকা।

এভাবে ৪র্থ, ৫ম ও ৬ষ্ঠ লট মিলিয়ে মোট ১ লাখ ২০ হাজার মেট্রিক টন ডিএপি সার আমদানি করা হবে, যার মোট খরচ দাঁড়াবে প্রায় ১ হাজার ১২৯ কোটি টাকা।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের আরেকটি প্রস্তাবের ভিত্তিতে বিএডিসি রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের চুক্তির আওতায় সৌদি আরবের মা’আদেন কোম্পানি থেকে ৪০ হাজার মেট্রিক টন ডিএপি সার আমদানি করবে।

দশম লটের আওতায় এই আমদানিতে প্রতি মেট্রিক টনের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৭৮৪ মার্কিন ডলার। সার আমদানির জন্য মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৮৩ কোটি ৮৪ লাখ ৬৪ হাজার টাকা।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের অপর একটি প্রস্তাবের ভিত্তিতে, রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের চুক্তির আওতায় বিএডিসি কানাডার কানাডিয়ান কমার্সিয়াল কর্পোরেশন (সিসিসি) থেকে ৮ম লটের আওতায় ৪০ হাজার মেট্রিক টন এমওপি সার আমদানি করবে।

প্রতি মেট্রিক টনের দাম ৩৫৬.২৫ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে, আর মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১৭৪ কোটি ৪২ লাখ টাকা।