অনলাইন সংস্করণ
২১:২১, ১২ অক্টোবর, ২০২৫
মূল বেতনের ২০ শতাংশ হারে বাড়িভাড়া ভাতার প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা। এ দাবিতে আজ রোববার (১২ অক্টোবর) দিবাগত রাতেও তারা অবস্থান করবেন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে।
এছাড়া আগামীকাল সোমবার (১৩ অক্টোবর) থেকে দেশের সব এমপিওভুক্ত বেসরকারি স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি শুরু করবেন শিক্ষকরা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।
আজ (রোববার) সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণপ্রত্যাশী জোটের সদস্যসচিব অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন আজিজী। তিনি বলেন, রাতে শহীদ মিনারে আমাদের অবস্থান কর্মসূচি চলবে। আগামীকাল থেকে কর্মবিরতি শুরু হবে।
তিনি আরও বলেন, রাতে আমাদের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে নতুন কোনো সিদ্ধান্ত হলে, কিংবা সরকারের পক্ষ থেকে দাবি মেনে নেওয়ার নির্দিষ্ট ঘোষণা এলে বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।
মুচলেকায় মুক্ত ৬ শিক্ষক
রোববার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে আটক ছয়জন শিক্ষককে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। রাত সোয়া ৭টার দিকে তাদের জাতীয়করণপ্রত্যাশী জোটের আহ্বায়ক ও সদস্য-সচিবের তত্ত্বাবধানে মুক্তি দেওয়া হয়।
ছাড়া পাওয়া শিক্ষকরা হলেন— আনোয়ার হোসেন (নাগপুর, টাঙ্গাইল), আজাদ হোসেন মিরাজ (লক্ষ্মীপুর সদর), ইউসুফ আলী (পাবনা সদর), রেজাউল করিম (মুলাদী, বরিশাল), নেওয়াজ মোরশেদ (চাঁদপুর সদর), মামুন মিজি (যাত্রাবাড়ী, ঢাকা)।
বর্তমানে দেশের প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারী মাসিক এক হাজার টাকা হারে বাড়িভাড়া ভাতা পাচ্ছেন। তাদের দাবি, এ ভাতা মূল বেতনের ২০ শতাংশ হারে নির্ধারণ করতে হবে। এ নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় একাধিকবার আশ্বাস দিলেও বাস্তবায়ন হয়নি।
যদিও গত ৫ অক্টোবর শিক্ষক দিবসে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে বাড়িভাড়া ভাতা মাত্র ৫০০ টাকা বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এতে অসন্তোষ প্রকাশ করে শিক্ষকরা রোববার (১২ অক্টোবর) থেকে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দেন।
ঘোষণা অনুযায়ী সকাল ১০টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান শুরু করেন শিক্ষকরা। দুপুরে অর্থ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তাদের ডেকে নিয়ে আলোচনা করা হয় এবং আশ্বাস দেওয়া হয়। তবে শিক্ষকরা বৈঠক ফলপ্রসূ হয়নি জানিয়ে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।
পরবর্তীকালে প্রেস ক্লাবের সামনের সড়ক ছেড়ে শহীদ মিনারে অবস্থান নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। শিক্ষকদের একটি অংশ শহীদ মিনারে গেলেও, অন্যপক্ষ প্রেস ক্লাবের সামনেই অবস্থান চালিয়ে যেতে অনড় থাকে।
