আইএলও’র ৩ কনভেনশনে স্বাক্ষর করলো বাংলাদেশ
প্রকাশ : ২২ অক্টোবর ২০২৫, ২৩:২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) তিনটি কনভেনশনে স্বাক্ষর করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। দিনটি বাংলাদেশের শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
বুধবার (২২ অক্টোবর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের উপস্থিতিতে শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন এ তিনটি কনভেনশন অনুসমর্থন পত্রে স্বাক্ষর করেন।
কনভেনশনগুলো হলো- পেশাগত নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক কনভেনশন, ১৯৮১ (নং-১৫৫); কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তার মান উন্নয়নে প্রচারণামূলক কাঠামো কনভেনশন, ২০০৬ (নং-১৮৭) এবং কর্মক্ষেত্রে সহিংসতা ও হয়রানি প্রতিরোধ বিষয়ক কনভেনশন, ২০১৯ (নং-১৯০)। এর মধ্যে কনভেনশন ১৮৭ ও কনভেনশন ১৫৫ হলো আইএলও’র মৌলিক কনভেনশন, যা ২০২২ সালে সংস্থাটি কর্তৃক গৃহীত হয়। এই তিনটি কনভেনশন অনুস্বাক্ষরিত হওয়ায় বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র দেশ হিসেবে আইএলও’র ১০টি মৌলিক কনভেনশন অনুস্বাক্ষরকারী দেশ হলো।
এই অর্জন উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, বাংলাদেশের শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের ইতিহাসে আজকের দিনটি স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
তিনি ২০১৩ সালের রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির কথা স্মরণ করে বলেন, সেই ঘটনার পর তৎকালীন সরকার প্রতিশ্রুতি দিলেও যা করার কথা ছিল তার কিছুই হয়নি, শুধু ‘হচ্ছে, হবে’ করেই চলছিল। তিনি দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন, আমরা বললাম যে ‘হচ্ছে-হবে’ আর নয়, এটা আমরা করেই যাব।
প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পরই শ্রম অধিকার তার প্রথম দৃষ্টি ছিল জানিয়ে তিনি বলেন, কাগজে সই করেই কাজ শেষ না, কাজ কেবল শুরু। যে ওয়াদা করলাম সেটা পালন করতে হবে। কনভেনশন কী কথা বলা আছে, কোন অধিকারের কথা আছে সেটা সবার কাছে পৌঁছে দিতে হবে। সবাইকে সচেতন করতে হবে। তিনি সংশ্লিষ্ট সকলকে কঠোর পরিশ্রমের জন্য কৃতজ্ঞতা জানান।
আবা/এসআর/২৫
