গণভোট

রাজনৈতিক দলগুলোকে এক সপ্তাহের মধ্যে সুপারিশ জানানোর আহ্বান

প্রকাশ : ০৩ নভেম্বর ২০২৫, ১২:৪১ | অনলাইন সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

গণভোটের আয়োজনের সময় নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ‘ঐক্যবদ্ধ সুপারিশ’ দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। অন্যথায় এ বিষয়ে সরকার নিজেই সিদ্ধান্ত নেবে। 

সোমবার (৩ নভেম্বর) উপদেষ্টা পরিষদের জরুরি সভা শেষে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এমনটা জানান আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।

তিনি জানান, আজ উপদেষ্টা পরিষদের জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে, যেখানে ঐকমত্য কমিশনের প্রণীত জুলাই জাতীয় সনদ এবং এর বাস্তবায়ন নিয়ে আলোচনা করা হয়। সংস্কার নিয়ে ঐকমত্য স্থাপন এবং বিভিন্ন বিষয়ে সমঝোতা প্রতিষ্ঠার জন্য সভায় কমিশন এবং রাজনৈতিক দলগুলোকে ধন্যবাদ জানানো হয়। তবে, দীর্ঘ আলোচনার পরও কয়েকটি সংস্কারের সুপারিশের ক্ষেত্রে ভিন্নমত রয়েছে।

আইন উপদেষ্টা আরও জানান, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে গণভোটের সময় ও এর বিষয়বস্তু নিয়ে দেখা দেয়া মতভেদের কারণে সভায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। এই প্রেক্ষিতে গণভোটের কখন হবে, বিষয়বস্তু কী হবে এবং জুলাই সনদে বর্ণিত ভিন্নমত প্রসঙ্গে কী পদক্ষেপ নেয়া হবে, তা নিয়ে ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবের আলোকে জরুরি ভিত্তিতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা প্রয়োজন বলে সভা অভিমত প্রকাশ করে।

আসিফ নজরুল বলেন, ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের দীর্ঘদিনের মিত্র রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজ উদ্যোগে নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করে দ্রুত সময়ে সম্ভব হলে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সরকারকে ঐক্যবদ্ধ দিকনির্দেশনা দেয়ার আহ্বান জানানো হয়। এমন নির্দেশনা পেলে সরকারের পক্ষে সিদ্ধান্ত নেয়া সহজ হবে।

তিনি আরও বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে কালক্ষেপণের যে কোনো সুযোগ নাই সেটাও আমাদের সবার বিবেচনায় রাখা প্রয়োজন। 

এছাড়া, উপদেষ্টা পরিষদের সভায় ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথম অর্ধে আগামী সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে সরকারের সংকল্প পুনর্ব্যক্ত করা হয় বলেও জানান তিনি।  

এক সপ্তাহের মধ্যে দলগুলো ঐকমত্যে পৌঁছাতে না পারলে সরকারের পরবর্তী সিদ্ধান্ত কী হবে—এমন প্রশ্নের উত্তরে আইন উপদেষ্টা বলেন, প্রথমে বলতে চাই আমরা কোনো আল্টিমেটাম দেইনি। আমরা শুধুমাত্র আহ্বান জানিয়েছি। ‘আল্টিমেটাম’ শব্দের ব্যবহার আমরা আপত্তিকর মনে করি। তবে অবশ্যই, সরকারের পক্ষ থেকে প্রয়োজন হলে সরকার তার মতো সিদ্ধান্ত নেবে।

তিনি বলেন, সরকার আয়োজন করে বহু আলোচনা করেছে। আপনারা সবাই জানেন, বহু আলোচনা করেছে। সরকার আর কোনো আয়োজন করতে যাচ্ছে না। 

আসিফ নজরুল জানান, এরইমধ্যে একটি রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে আলোচনার আহ্বান জানানো হয়েছে, সরকার সেই উদ্যোগকে স্বাগত জানাচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে সড়ক পরিবহন উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান ও প্রধান উপদেষ্টা প্রেস সচিব শফিকুল আলম উপস্থিত ছিলেন।