অনলাইন সংস্করণ
১৮:৪৬, ০৪ নভেম্বর, ২০২৫
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, জাতিসংঘের বৈশ্বিক জলবায়ু সম্মেলন (কনফারেন্স অব পার্টিজ—কপ)-এ বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব শুধুমাত্র পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে নয়; বরং মহিলা ও শিশু, কৃষি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা—সহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর সমন্বিত অংশগ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশের অবস্থান আরও শক্তিশালী করতে হবে।
আজ সকালে সিরডাপ মিলনায়তনে “বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন (COP-30): প্রস্তুতিমূলক কর্মশালা”য় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
কর্মশালার আয়োজন করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
উপদেষ্টা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে আলোচনা প্রায়শই শুধুমাত্র পরিবেশের ক্ষতি নিয়ে সীমাবদ্ধ থাকে। অথচ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতও জলবায়ু পরিবর্তনের বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন। কার্বন নিঃসরণে ধনী দেশগুলোর দায় প্রায় ৮০ শতাংশ, অথচ সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার স্বল্পোন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলো।
তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে শুধু মানুষ নয়, প্রাণিকূলও হুমকিতে পড়ে। কৃষিতে অতিরিক্ত রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহারের কারণে মাছের উৎপাদন কমছে, যা খাদ্যনিরাপত্তায় সরাসরি প্রভাব ফেলছে।
তিনি বলেন, ধনী দেশগুলো অতীতে কার্বন নিঃসরণ কমানোর প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেনি। এখন তারা নেট জিরোর কথা বলছে। কিন্তু কার্বন নিঃসরণ যথাযথভাবে কমানো ছাড়া শুধু গাছ লাগানো বা প্রযুক্তি ব্যবহারের ওপর নির্ভর করলে সমস্যা সমাধান হবে না। দেশীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিকভাবে সমন্বিত উদ্যোগ বাস্তবায়নের ওপর তিনি গুরুত্ব আরোপ করেন।
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের। স্বাগত বক্তব্য দেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. ইমাম উদ্দীন কবীর। “বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন (COP-30)”–এর ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ নাভিদ শফিউল্লাহ।
কর্মশালায় দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, গবেষক, সরকারি-বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধি ও ক্লাইমেট অ্যাক্টিভিস্টরা উপস্থিত ছিলেন।