‘ফেব্রুয়ারীর প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে বদ্ধপরিকর’

আমরা সরকারের পক্ষ থেকে ফেব্রুয়ারীর প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজন করার ব্যাপারে বদ্ধপরিকর। এইটার সঙ্গে সম্পর্কিত বা বিলম্বিত করার কোনো ইস্যু আছে বলে আমরা মনে করি না, বলে মন্তব্য করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।

রবিবার সকালে রাজশাহী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবনের লিগ্যাল এইড অফিসে বিচারকদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে আশঙ্কার কোনো কারণ দেখছি না। রাজনৈতিক দলগুলো একে অপরের প্রতি চাপ সৃষ্টির জন্য বা আমাদের প্রতি চাপ সৃষ্টি করার জন্য কিছু কথা বলে। আবার কিছু জেনুইন কথা বলেন। সব কিছু শুনে মনে হয়, নির্বাচন নিয়ে একটি অনিশ্চয়তা বা আশঙ্কা রয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ নির্বাচনের জন্য অধীর আগ্রহী হয়ে অপেক্ষা করছে। তাই নির্বাচন বিলম্বিত করার কোনো ইস্যু নেই। অবশ্যই জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টির জন্য যা করা দরকার, করা হবে।

তিনি আরও বলেন, ১৬-১৭ বছর নির্বাচন হয় নি। একারণে কিছুটা শঙ্কা মানুষের মধ্যে আছে। পাঁচ কোটি মানুষ কখনো ভোট দিতে পারেনি, এটা তাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ অধীর আগ্রহী হয়ে নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করছে। তাদের মধ্যে উৎসাহ সৃষ্টি হয়েছে।

আইন উপদেষ্টা আরও বলেন, জামিন দেওয়া শুধু বিচারকের উপর নির্ভর করে না। পুলিশ কি রিপোর্ট দিচ্ছে তার উপরও নির্ভর করে। ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে কিংবা কণ্ঠ শোনা গেছে এরকম হলে ব্যতিক্রম হয়।

তিনি আরও বলেন, যেখানে জামিন পাওয়ার যোগ্য সেখানে জামিন পেতেই পারে। তবে যারা জামিন পেয়ে একই ধরনের অপরাধ করতে পারে, দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও পরিবেশ বিনষ্ট করতে পারে, নিষিদ্ধ কোনো সংগঠনের সদস্য হয়ে তৎপরতা চালাতে পারে; তাদের বেশি জামিন দিলে আমরা আতঙ্কিত হবো।

তিনি বলেন, একজন বিচারকের জায়গায় আদালতে তিনজন বিচারক দেয়া হচ্ছে, যাতে আদালতে মামলার চাপ কমে। আদালত সংস্কারে আমরা নানা উদ্যোগ নিচ্ছি। সুফল অবশ্যই জনগণ পাবে।

এ সময় রাজশাহী জেলা প্রশাসকসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।