এবারের নির্বাচন দেশ রক্ষার নির্বাচন: প্রধান উপদেষ্টা

প্রকাশ : ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ১৩:৫৫ | অনলাইন সংস্করণ

প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আগামী নির্বাচন ও গণভোটে শতভাগ সততা, নিরপেক্ষতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে জাতির স্বার্থ রক্ষা করা সম্ভব। তিনি বলেন, এবারের নির্বাচন গতানুগতিক কোনো নির্বাচন নয়; বরং এটি দেশ রক্ষার নির্বাচন।

সদ্য পদায়নকৃত ৫০ জেলা প্রশাসকসহ ৬৪ জেলার প্রশাসকদের উদ্দেশ্যে প্রধান উপদেষ্টা এই বক্তব্য প্রদান করেন।

তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনকে শুধু পাঁচ বছরের সরকার গঠনের একটি নির্বাচন হিসেবে দেখা যাবে না; গণভোট যুক্ত হওয়ায় এটি আরও তাৎপর্যপূর্ণ।

তিনি উল্লেখ করেন, এটি সম্পূর্ণ ভিন্নধর্মী একটি নির্বাচন এবং জাতি বহু প্রহসনের নির্বাচন দেখেছে, সেই স্মৃতি ছাপিয়ে যেতে প্রশাসকদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে।

প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, এটি গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী নির্বাচন এবং গণঅভ্যুত্থানকে পূর্ণতা দেওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এই নির্বাচনের মাধ্যমে জাতির জন্য শতাব্দীর গতিপথ নির্ধারিত হবে। জেলা প্রশাসকদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং কোনোভাবেই ব্যর্থ হওয়ার সুযোগ নেই। এই নির্বাচনের মাধ্যমে জাতি নবজন্ম লাভ করবে এবং জেলা প্রশাসকরা ধাত্রীর ভূমিকায় থাকবেন।

তিনি আরও বলেন, ভোট প্রদানকে উৎসবমুখর এবং শান্তিপূর্ণ করতে হবে। মনে রাখতে হবে বিপুল সংখ্যক তরুণ ও নারী ভোটার রয়েছেন, যারা ভোট দেওয়ার উপযুক্ত হলেও গত ১৫ বছর ধরে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেননি। আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা ইতোমধ্যে আগামী নির্বাচনের বিষয়ে গভীর উৎসাহ দেখাচ্ছেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এই নির্বাচনকে স্বার্থক করা গণঅভ্যুত্থানের প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতি এবং এটি একটি বিরাট অভিযান, এ অভিযানে আমাদের জিততেই হবে। স্বাধীন জাতি হিসেবে টিকে থাকতে হলে এই লড়াইয়ে জিততেই হবে।

বৈঠকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব শেখ আব্দুর রশীদ সঞ্চালনা করেন। উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান এবং আইন উপদেষ্টা প্রফেসর আসিফ নজরুল।

মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের মধ্যে ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার শরফ উদ্দিন আহমদ চৌধুরী, টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক শরীফা হক এবং বগুড়ার জেলা প্রশাসক মো: তৌফিকুর রহমান বক্তব্য রাখেন।