নৌবাহিনী প্রধান

নির্বাচনে সরকার ও ইসিকে সার্বিক সহযোগিতা করবে নৌবাহিনী

প্রকাশ : ২৪ নভেম্বর ২০২৫, ১৭:১০ | অনলাইন সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন করতে অন্তর্বর্তী সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) নৌবাহিনী সার্বিক সহযোগিতা করবে বলে জানিয়েছেন নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসান।

সোমবার (২৪ নভেম্বর) বেলা ১১টায় বানৌজা শের-ই-বাংলা প্যারেড গ্রাউন্ডে ৪১৭ জন নবীন নাবিকের দীর্ঘ ২২ সপ্তাহ সামরিক প্রশিক্ষণ শেষে সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।

নৌবাহিনী প্রধান বলেন, বর্তমান সরকার ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছে। এই নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনীর প্রতিটি সদস্যের ভূমিকা হবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ নৌবাহিনীর প্রতিটি সদস্য জাতীয় নির্বাচনে তাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা এবং একটি অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে সার্বিক সহায়তা প্রদান করবে।

তিনি বলেন, সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে দেশের আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং সার্বিকভাবে জনগণের জানমাল বজায় এবং সার্বিক নিরাপত্তা প্রদানের লক্ষে ২০২৪ সালের জুলাই মাস থেকে ইন এইট টু সিভিল পাওয়ারের আওতায় অসামরিক প্রশাসনকে সহায়তার জন্য নৌবাহিনী তার দায়িত্বপ্রাপ্ত এলাকায় মোতায়েন রয়েছে। এ সকল এলাকায় নিয়োজিত নৌসদস্যরা গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা এবং এলাকাসমূহের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে সকল ভূমিকা পালন করে দেশবাসীর কাছে ভূয়সী প্রশংসা অর্জন করেছে।

অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসান বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনাল পরিচালনার দায়িত্ব সরকার চট্টগ্রাম জয়দেব লিমিটেডের ওপর ন্যস্ত করেছে। এতে অল্প সময়ের মধ্যে কন্টেইনার হ্যান্ডেলিংয়ের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। এতে গতিশীলতা এসেছে সামগ্রিক অর্থনীতিতে।

নৌবাহিনী প্রধান বলেন, আধুনিক বিশ্বের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রতিটি নৌসদস্যকে প্রযুক্তিনির্ভর ও ত্রিমাত্রিক নৌবাহিনীর উপযোগী দক্ষতা অর্জন করতে হবে। 

নবীন নাবিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, শুধু সামরিক দায়িত্ব নয়, সংকটময় সময়ে জনগণের জানমাল রক্ষা, গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নিরাপত্তা প্রদান এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতেও অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে।

কুচকাওয়াজের মাধ্যমে ৪১৭ জন নাবিক বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে আনুষ্ঠানিকভাবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। এসময় তারা জাতীয় পতাকা স্পর্শ করে দেশের প্রয়োজনে জীবন উৎসর্গের শপথ গ্রহণ করেন।

২২ সপ্তাহব্যাপী কঠোর সামরিক প্রশিক্ষণে সর্বোচ্চ উৎকর্ষের জন্য রিজান মোল্যা ‘নৌপ্রধান পদক’, মো. মারুফ হাসান মুন্না ‘কমখুল পদক’ এবং মো. হাসান আলী ‘শের-ই-বাংলা পদক’ লাভ করেন। তাদের হাতে নৌপ্রধান ক্রেস্ট তুলে দেন।