ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা: ইসি সানাউল্লাহ

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ডিসেম্বর মাসের প্রথমার্ধে ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ। তফসিল ঘোষণার ১০ দিনের মধ্যে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) পর্যবেক্ষকদের তালিকা দাখিল করতে হবে বলেও জানান তিনি।

মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) সকালে নির্বাচন ভবনে আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে ৪০টি নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে সংলাপের বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান। এবার ৮১ টি প্রতিষ্ঠানকে নিবন্ধন দিয়েছে ইসি। দিনব্যাপী সংলাপে সকালে ৪১টি সংস্থাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

মো. সানাউল্লাহ বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে স্বচ্ছ নির্বাচন হবে ২০২৬ সালে। এর ব্যত্যয় যে করতে চাইবে, তাকে ন্যূনতম ছাড় দেওয়া হবে না। আগামী সংসদ নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে। ভোটার উপস্থিতি বেশি হবে।

পর্যবেক্ষকদের প্রতি কঠোর বার্তা দিয়ে তিনি বলেন, কোনো পর্যবেক্ষক ব্যক্তি বা প্রাতিষ্ঠানিকভাবে কোনো ধরনের পক্ষপাতিত্ব করতে পারবে না। পর্যবেক্ষকদের তালিকা তফসিল ঘোষণার ১০ দিনের মধ্যে নির্বাচন কমিশনে জমা দিতে হবে। মানহীন পর্যবেক্ষক নির্বাচনে প্রয়োজন নেই। আমরা শুধু মানসম্পন্ন ও নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষণ চাই। এছাড়া কোনো বিদেশি নাগরিক দেশি সংস্থার হয়ে পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না। বিদেশি নাগরিকদের অবশ্যই বিদেশি পর্যবেক্ষক হিসেবে তাদের নিজস্ব আইন-বিধিতে আবেদন করে পর্যবেক্ষণ করতে হবে বলে জানান তিনি।

পর্যবেক্ষকদের দায়িত্বের সময়সীমা নির্ধারণ করে নির্বাচন কমিশনার জানান, নির্বাচনের আগের দিন, নির্বাচনের দিন এবং নির্বাচনের পরের দিন— এই তিনদিন পর্যবেক্ষকরা তাদের দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়া, ভুয়া পর্যবেক্ষকদের চিহ্নিত ও ঠেকানোর জন্য নির্বাচন কমিশন এবার কঠোর পদক্ষেপ নিতে চলেছে। পর্যবেক্ষকদের পরিচয়পত্রে কিউআর কোড (QR Code) ব্যবহার করা হবে, যা জালিয়াতি প্রতিরোধে সহায়তা করবে জানান তিনি।

সংলাপে রাজনীতি ও দলের সঙ্গে সম্পৃক্তদের পর্যবেক্ষক নিয়োগ না দেওয়ার জন্য দেশি সংস্থাগুলোর প্রতি অনুরোধ জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। সেই সঙ্গে সংস্থাগুলোর নিয়োগ করা মাঠকর্মীরা যাতে কোনো ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে বা প্রচারণায় যুক্ত না হন, সে বিষয়ে কঠোর নির্দেশনা দেন তিনি।