অনলাইন সংস্করণ
১০:৫০, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৫
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রশাসনিক কাঠামোয় বড় ধরনের রদবদল আনা হয়েছে। গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ের নিরাপত্তা চাহিদা ও একটি আধুনিক, দক্ষ এবং জনমুখী নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এই পুনর্বিন্যাস কার্যকর করা হয়েছে। এর অংশ হিসেবে ৪৭ জেলা কমান্ডেন্ট এবং ১৬২ উপজেলা কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে।
নির্বাচনী নিরাপত্তা দায়িত্বকে আরও শক্তিশালী করতে মাঠ পর্যায়ের সদস্যদের যাচাইকরণ তালিকা হালনাগাদ, এভিএমআইএস সফটওয়্যারে তথ্য সংযোজন, নির্বাচনী মহড়া ও প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে।
নির্বাচনকে শান্তিপূর্ণ, স্বচ্ছ ও অংশগ্রহণমূলক করতে নিরাপত্তা বাহিনীর পেশাদারিত্ব ও নিরপেক্ষতা অপরিহার্য হওয়ায় আনসার-ভিডিপি সদস্যদের আচরণগত উন্নয়ন ও দায়িত্ব পালনের সক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। ভোটকেন্দ্রসহ দায়িত্বপ্রাপ্ত স্থানগুলোতে পেশাদারিত্ব বজায় রাখার বিষয়টিকেও অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।
প্রস্তুতির অংশ হিসেবে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রশাসনিক কাঠামো পুনর্বিন্যাসের পাশাপাশি সব ধরনের মোতায়েন কার্যক্রম ডিজিটালাইজড করা হয়েছে।
আনসার সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, কর্মকর্তারা নতুন কর্মস্থলে যোগদানের পর বাহিনীপ্রধানের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী নির্বাচনী দায়িত্ব বাস্তবায়নে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি সম্পন্ন করবেন।
বাহিনীর দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, নির্বাচন চলাকালে প্রতিটি সদস্যকে শতভাগ নিরপেক্ষতা, সততা ও পেশাদারিত্ব বজায় রেখে দায়িত্ব পালনের জন্য কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হবে। নেতৃত্বস্থানীয় পদাধিকারের এই পুনর্বিন্যাস নির্বাচনী সময়ে বিভিন্ন জেলার নিরাপত্তা চাহিদা অনুযায়ী দায়িত্ব বণ্টনকে আরও কার্যকর করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে আনসার-ভিডিপির এই বৃহৎ প্রশাসনিক পরিবর্তন নির্বাচন-সংক্রান্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করবে।
একইসঙ্গে একটি শান্তিপূর্ণ, গ্রহণযোগ্য ও সুশৃঙ্খল নির্বাচন আয়োজন এবং গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা সুদৃঢ় করতেও এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে সংশ্লিষ্ট মহলের অভিমত।
