সংসদ নির্বাচন: কর্মকর্তাদের বদলি-ছুটি নিয়ন্ত্রণ করবে ইসি
প্রকাশ : ১২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫:২৫ | অনলাইন সংস্করণ

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বদলি ও ছুটি প্রদানে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অনুমতি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ইসির জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদের পাঠানো চিঠিতে এ নির্দেশনা জানানো হয়। চিঠিটি ইতোমধ্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিবের কাছে প্রেরণ করা হয়েছে।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২-এর ৪৪৬ অনুচ্ছেদ অনুসারে নির্বাচনি তফসিল ঘোষণার পর থেকে ফলাফল ঘোষণার ১৫ দিন পর পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের পূর্বানুমতি ছাড়া কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বদলি করা যাবে না। একই সঙ্গে এই সময়ে ছুটি প্রদানেও ইসির অনুমতি প্রয়োজন হবে।
চিঠিতে জানানো হয়, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট পরিচালনার জন্য রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হবে। এছাড়া সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ, সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং প্রয়োজনে বেসরকারি অফিস বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকেও প্রয়োজনীয়সংখ্যক ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগ করা হবে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয়সংখ্যক ম্যাজিস্ট্রেট ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও মোতায়েন থাকবে।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ১২৬ অনুচ্ছেদ এবং গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ৫ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নির্বাচনে সহায়তা করা নির্বাহী কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব হিসেবে বিবেচ্য উল্লেখ করে চিঠিতে আরও বলা হয়, নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) আইন, ১৯৯১ অনুযায়ী নির্বাচন–সংক্রান্ত কাজে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা নির্বাচনি দায়িত্ব শেষ না হওয়া পর্যন্ত ইসির অধীনে প্রেষণে নিয়োজিত বলে গণ্য হবেন।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিবকে পাঠানো চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, তফসিল ঘোষণার পর কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ইসির পূর্বালোচনা ছাড়া বদলি বা ছুটি প্রদান না করা এবং নির্বাচনি দায়িত্ব ব্যাহত হতে পারে এমন কাজে নিয়োজিত না করার নির্দেশনা দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে অবহিত করতে অনুরোধ করা হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, গণভোট ও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কার্যক্রম সুসম্পন্ন করতে নির্বাচনের কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিদের আইন ও বিধি মোতাবেক নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করতে হবে।
