সহিংসতার বিরুদ্ধে সতর্ক থাকার আহ্বান অন্তর্বর্তী সরকারের

অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশের সব নাগরিককে আহ্বান জানিয়েছে, বিচ্ছিন্ন উগ্রগোষ্ঠীর দ্বারা সংঘটিত সকল প্রকার সহিংসতার বিরুদ্ধে সতর্ক থাকতে। একইসঙ্গে তারা উসকানি ও ঘৃণাকে প্রত্যাখ্যান ও প্রতিরোধের মাধ্যমে শহীদ হাদির প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শনের কথাও জানিয়েছে।

আজ দুপুরে অন্তর্বর্তী সরকারের এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানানো হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, “আমরা সহিংসতা, ভীতি প্রদর্শন, অগ্নিসংযোগ এবং জানমাল ধ্বংসের সকল কর্মকাণ্ডকে দৃঢ়ভাবে ও দ্ব্যর্থহীনভাবে নিন্দা জানাই।”

বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, দেশের ইতিহাসের এই সংকটময় সময়ে আমরা একটি ঐতিহাসিক গণতান্ত্রিক রূপান্তরের মধ্য দিয়ে অগ্রসর হচ্ছি। যারা বিশৃঙ্খলাকে পুঁজি হিসেবে নেয় এবং শান্তির পথকে উপেক্ষা করে, এমন অল্প কয়েকজনের কারণে এই অগ্রযাত্রা কোনোভাবেই ব্যাহত হতে দিতে পারি না।

অন্তর্বর্তী সরকার জানায়, আসন্ন নির্বাচন ও গণভোট কেবল রাজনৈতিক অনুশীলন নয়; এগুলো একটি গুরুতর জাতীয় অঙ্গীকার। শহীদ শরিফ ওসমান হাদির আত্মত্যাগ ও স্মৃতির প্রতি সম্মান জানাতে হলে সংযম, দায়িত্বশীলতা এবং ঘৃণা প্রত্যাখ্যানের প্রতি অবিচল অঙ্গীকার প্রয়োজন।

বিবৃতিতে সাংবাদিকদের প্রতি সমর্থনও ব্যক্ত করা হয়েছে। “দ্য ডেইলি স্টার, প্রথম আলো ও নিউ এজ–এর সাংবাদিকদের প্রতি আমরা বলতে চাই—আমরা আপনাদের পাশে আছি। আপনারা যে সন্ত্রাস ও সহিংসতার শিকার হয়েছেন, তার জন্য আমরা গভীরভাবে দুঃখিত। সাংবাদিকদের ওপর হামলা মানেই সত্যের ওপর হামলা। আমরা আপনাদের পূর্ণ ন্যায়বিচারের আশ্বাস দিচ্ছি।”

একইসঙ্গে ময়মনসিংহে এক হিন্দু ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় গভীর নিন্দা জানানো হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকার জানায়, “নতুন বাংলাদেশে এ ধরনের সহিংসতার কোনো স্থান নেই। এই নৃশংস অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।”

গতকাল ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী শরীফ ওসমান হাদির মৃত্যুর খবর পৌঁছানোর পর রাজধানী ঢাকা উত্তাল হয়ে ওঠে। দেশের বিভিন্ন জেলাতেও বিক্ষোভ শুরু হয়।