একাত্তরে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে লাখো শহীদ এবং ২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হাজার হাজার মানুষের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা রক্ষায় সবাইকে আন্তরিক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে নতুন যে স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে তা নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝিতে বিফলে যেতে পারে।
রাজনৈতিক ঐক্য থাকলে স্বাধীনতা কেউ কেড়ে নিতে পারবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় লন্ডন থেকে ঢাকায় একটি অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে কোনোভাবেই ব্যর্থ হতে দেয়া হবে না বলে আবারও জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার ব্যর্থ হলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠন ব্যর্থ হবে এবং তাদের লক্ষ্য ব্যর্থ করতে চায় পরাজিত শক্তি, তবে বিএনপি তা হতে দেবে না। তবে জনগণের কষ্ট লাঘব করা না গেলে অন্তর্বর্তী সরকারের কর্মকাণ্ড প্রশ্নবিদ্ধ হবে বলে মনে করেন তিনি।
এ সময় তাড়াহুড়ো করে কোনো সিদ্ধান্ত না নিতে সবার প্রতি আহ্বান জানান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। একই সঙ্গে পলাতক স্বৈরাচারের কোনো উসকানি বা গুজবে কান না দেওয়ারও আহ্বান জানান তিনি। হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতাদের উদ্দেশে তারেক রহমান বলেন, ধর্ম যার যার নিরাপত্তা পাওয়ার অধিকার সবার। গেল ১৫ বছর মাফিয়া সরকার সন্ত্রাসীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সকল ধর্মের মানুষকে উৎকণ্ঠায় রেখেছিল।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন—দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ড. আব্দুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সুকোমল বড়ুয়া, বিএনপির ধর্মবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জামাল।
এছাড়া বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিজন কান্তি সরকার, মহাসচিব এস এন তরুণ দে, উপদেষ্টা অ্যালবার্ট পি কষ্টা, মনি স্বপন দেওয়ান, অধ্যক্ষ গণেশ হাওলাদার, ভাইস চেয়ারম্যান অর্পণা রায় দাস, নিতাই চন্দ্র ঘোষ, দেবাশীষ রায় মধুসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।