বাকশালকে স্বাগত জানিয়ে মিছিল করেছিল ছাত্র ইউনিয়ন: শিবির সেক্রেটারি
প্রকাশ : ২৮ আগস্ট ২০২৫, ১৮:৫০ | অনলাইন সংস্করণ
ইবি প্রতিনিধি

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি নুরুল ইসলাম সাদ্দাম বলেছেন, ছায়া প্রশাসনের অভিযোগ তোলা মানে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করা। নিজেদের পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ ঢাকার জন্য তারা এই জিনিসটাকে ন্যারেটিভ হিসেবে দাঁড় করানোর চেষ্টা করেছে। ঢাবি ছাত্রশিবিরের পক্ষে কোনো সিদ্ধান্ত প্রশাসন গ্রহণ করেনি। বরং ছাত্রশিবিরকে কোণঠাসা করার জন্য বাম, যারা আওয়ামী লীগের দোসর ছিল, তাদের পক্ষে সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছে। এই বাম ছাত্র সংগঠনই সেই ছাত্র ইউনিয়নের পক্ষ নেওয়ায় তারা বাকশালকে স্বাগত জানিয়ে মিছিল করেছিল।
বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ‘হাফেজে কুরআন সংবর্ধনা’ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথাগুলো বলেন তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের গগন হরকরা গ্যালারিতে ‘হাফেজে কুরআন সংবর্ধনা-২৫’ নামে এ অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রশিবির। অনুষ্ঠানে ৩২৭ জন কুরআনের হাফেজকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
এ সময় তিনি আরও বলেন, ২০১৪ সালের নির্বাচনের পরে আমরা যখন আন্দোলন করেছি, তখন আমাদের আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে নিয়ে যাওয়ার জন্য বাম ছাত্র সংগঠন ও বাম দলগুলো একজোট হয়ে আমাদের আন্দোলনকে জঙ্গি ও দেশদ্রোহী আচরণ বলে আখ্যায়িত করেছে। অথচ ২০১৪ সালের নির্বাচনের বিরুদ্ধে আমরা তখন রাস্তায় নেমেছিলাম। আমরা দেখেছি, এরা আবার লাল সন্ত্রাসের ডাক দিয়েছে এবং বিভিন্ন সময় ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করছে।
তিনি বলেন, ৫ আগস্টের পরে বাংলাদেশের কোনো ক্যাম্পাসে তাদের গঠনমূলক কোনো কাজ দেখবেন না। তারা শুধু দোষ ধরবে, নিজেরা কোনো কাজ করবে না। তাদের মধ্যে একটি মবক্রেসি প্রবণতা আমরা দেখেছি যা তারা স্বীকারও করেছে। তারা বলছে, ১০ জন মিলে যে পরিমাণ গ্যাঞ্জাম করতে পারে, ১০০০ বা ১০,০০০ লোক তত গ্যাঞ্জাম করতে পারবে না। তাদের দল এখন শুধু গ্যাঞ্জাম ও মব ক্রিয়েট করার জন্যই বিদ্যমান।
শিবির সেক্রেটারি বলেন, শাপলা গণহত্যার পরে এটাকে তারা জাস্টিফাই করার চেষ্টা করছে। যারা গণহত্যার শিকার হয়েছে, শহিদ হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে গ্যাঞ্জি হত্যার বিষয় নিয়ে তারা স্ট্যাটাস দেয়। তারা অস্পষ্ট ও অসত্য তথ্য প্রচার করে এবং কথাগুলো কবিতার মতো উপস্থাপন করে। তাদের নিজস্ব কোনো এজেন্ডা নেই। তারা আট মিনিট কথা বললে সাত মিনিটই ইসলামী ছাত্রশিবির নিয়ে বলবে। ইসলামী ছাত্রশিবির নিজস্ব এজেন্ডা নিয়ে কাজ করে এবং প্রশাসনের কাছ থেকে কোনো ফেভার চায় না।
শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মাহমুদুল ইসলামের নেতৃত্বে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দলটির কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি নুরুল ইসলাম সাদ্দাম, ইবির সিন্ডিকেট সদস্য ড. আব্দুল মান্নান, আল-হাদিস ও ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান, অধ্যাপক ড. আকতার হোসেন এবং ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. আব্দুল বারীসহ কয়েকশো শিক্ষার্থী।
