পিআর ছাড়া নির্বাচন হলে বিপর্যয় হবে: এডভোকেট হেলাল

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর ড. এডভোকেট হেলাল উদ্দিন বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জনগণের আকাঙ্ক্ষা উপেক্ষা করে পিআর পদ্ধতি ছাড়া নির্দিষ্ট একটি দলকে প্রাধান্য দিয়ে যদি নির্বাচন পরিচালনা করে, তাহলে দেশে বিপর্যয় সৃষ্টি হবে।

শনিবার রাজধানীর একটি অডিটোরিয়ামে ভয়েস অব সিভিল রাইটস ফাউন্ডেশন আয়োজিত সংস্কার, বিচার, নির্বাচন ও মানবাধিকার শীর্ষক গোল টেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের কর্মকান্ডে জনমনে সংশয় তৈরি হচ্ছে। এই সংশয় দূর করতে সরকারকেই উদ্যোগ নিতে হবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার একটি দলের ভাষায় কথা বলছে এবং সাংবিধানিক সংকটের দোহাই দিচ্ছে। জুলাই যোদ্ধাদের খাটো করে কথা বলা হচ্ছে এবং তাদের ওপর প্রশাসন কর্তৃক হামলা করা হচ্ছে। এই কারণে মানুষ সরকারের ওপর বিরক্ত।

হেলাল উদ্দিন বলেন, যারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সাংবিধানিক সংকটে ভয় দেখাচ্ছে, তারা ক্ষমতায় এলে ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকারকে অবৈধ ঘোষণা করবে। এর ফলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সকল সংস্কার প্রস্তাব বাতিল হবে এবং ক্ষমতাসীনরা নতুন রূপে ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা কায়েম করবে। তাই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সাংবিধানিক বৈধতার জন্য এবং নতুন বাংলাদেশ গড়তে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিতে হবে।

একটি জরিপ মতে, দেশের ৭১ শতাংশ মানুষ পিআর পদ্ধতিতে সংসদ নির্বাচন চায়। হেলাল উদ্দিন বলেন, পিআর পদ্ধতি এবং জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশের মাধ্যমে না দিতে পারলে গণভোটের মাধ্যমে জনগণের মতামতের ভিত্তিতে চূড়ান্ত করতে হবে। সরকার ফ্যাসিবাদের উত্থানে সহযোগিতা না করে তা নিশ্চিত করতে গণভোটের আয়োজন করবে। নতুবা জনগণ রাজপথে নেমে এলে এর দায় সরকারকে বহন করতে হবে।

বৈঠকে প্রধান আলোচক ছিলেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শহীদুল ইসলাম।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরীর সমাজকল্যাণ সম্পাদক ও পল্টন থানা জামায়াতের আমীর শাহীন আহমেদ, জুলাই বিপবের অগ্রসৈনিক ও সাবেক ছাত্র নেতা মো. মঞ্জুরুল ইসলাম, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সাংবাদিক সংস্থার সেক্রেটারি মো. একরাম উল্লাহ এবং আইনজীবী মুজাহিদুল ইসলাম।

বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন ভয়েস অব সিভিল রাইটস ফোরামের চেয়ারম্যান ডা. মারুফ শাহরিয়ার।